নওগাঁর মান্দায় মাদকের ভয়াল থাবায় গ্রাস হচ্ছে যুব সমাজ
নওগাঁর মান্দায় মাদকাসক্তি এক ভয়াবহ এখন মরণ ব্যাধি হয়ে পড়েছে। মান্দা উপজেলার প্রেক্ষাপটে যে সকল সমস্যা বিদ্যমান তার একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে মাদকের ভয়াল থাবা। মান্দায় এখন দিন দিন মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।
বর্তমানে মান্দা উপজেলায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাদকের কেনাবেচা হয় না। উপজেলা থেকে শুরু করে গ্রামেও এটি সহজলভ্য। মান্দায় এখন প্রচলিত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল,চুলায় মদ,, হেরোইন, গাঁজা সহ বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ওষুধ, এমনকি জুতার আঠাও রয়েছে। এসব ভয়ানক নেশা জাতীয় দ্রব্য সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে গেছে।
এসব মাদকের বেশির ভাগই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত হতে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে। মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিক কারণে মান্দা উপজেলা এখন মাদক বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে মান্দা উপজেলার যুবসমাজের একটি বিরাট অংশ মাদকের করালগ্রাসে নিমজ্জিত।
দিনদিন যুবসমাজের মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে মান্দায় মাদকাসক্তের সংখ্যা ৫৫% এরও বেশি। যেখানে প্রায় ৪০ শতাংশই হচ্ছে শিশুকিশোর ও তরুণ। বিশাল সংখ্যক মাদকাসক্তের মধ্যে, ৪০% শিশুকিশোর কৌতূহলবশত হয়ে মাদক সেবনের মাধ্যমে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে।
মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন হয়। বিধ্বংসী ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবনের ফলে যুবসমাজের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। অনেক বহিরাগতরা মান্দা উপজেলায় নিরাপদে মাদক সেবনের জন্য এসে মান্দা উপজেলায় এসে ভিড় করে। মাদকের এই নীল দংশন থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে গড়ে তুলতে হবে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা।
এবং মাদক ব্যবসাহীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষেরা। মান্দা উপজেলার মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনছুর রহমান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমার থানা পুলিশ বেশ সজাগ আছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন