নওগাঁর মান্দায় পরচুলা শ্রমিকের টাকা নিয়ে রাতারাতি উধাও বাবা ছেলে
নওগাঁর মান্দায় শত শত অসহায় হতদরিদ্র পরচুলা মহিলা শ্রমিকের টাকা না দিয়ে বাড়ির মালিককে ওষুধ খাইয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে প্রতারক বাবা-ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার মান্দা উপজেলায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলার বাসিন্দা মজিবর ও তার ছেলে সুজন প্রায় দুই বছর আগে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ১ নং ভারশোঁ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে পরচুলা কেন্দ্র বসিয়ে প্রায় দুই শতাধিক নারীদের দৈনিক পারিশ্রমিক এর মাধ্যমে চুল বাছানোর কাজ করিয়ে নিত তারা ৷ শুধু এই দুই জনই নয় এছাড়াও অনেক পরচুলা অর্থাৎ চুল বাছানো কেন্দ্র বা কারখানা গড়ে উঠেছে এই উপজেলায় ৷ এসব কারখানা মালিকের বেশিরভাগেরই বাসা চুয়াডাঙ্গা/মেহেরপুর সহ বিভিন্ন জেলায়৷
তথ্য মতে, উপজেলার ৯ নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের রুয়াই, শংকরপুর,সালদহ সহ বিভিন্ন গ্রামের ১০ থেকে ১২ টি কেন্দ্রের প্রায় দুই শতাধিক মহিলা শ্রমিকের এক থেকে দেড় মাসের বেতন প্রায় তিন থেকে চার লক্ষাধিক টাকা না দিয়ে যে বাসায় ভাড়া থাকতো সে বাসা মালিকে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে রাতারাতি বাড়ির সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যায় এই প্রতারক বাবা ও ছেলে।
এঘটনায় মহিলা শ্রমিক আকলিমা বিবি,সাবানা বিবি, জুলেখা বিবি, আরিফা বিবি, ছেলিনা আক্তার, প্রতারক মুজিবর ও তার ছেলে সুজনের শাস্তি সহ পরচুলা শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি আদায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী অসহায় শ্রমিকরা।
এদিকে শ্রমিকদের টাকা না দিয়ে রাতারাতি এই বাবা ছেলে পালিয়ে যাওয়া জনগণে প্রশ্ন উঠেছে আরো যেসব পরচুলা ব্যবসায়ী আছে তারাও এই ভাবে শ্রমিকদের টাকা মেরে পালিয়ে যাবে না তো, এ ব্যাপারে এই সমস্ত পরচুলা ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের নজরদারিতে আনার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান উপজেলাবাসি।
আর এই প্রতারক বাবা ছেলের পালিয়ে যাওয়াই যে সমস্ত ব্যবসায়ী রয়েছেন তারাও এলাকাবাসীও স্থানীয় লোকজনের অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান এই পরচুলা ব্যবসায়ীরা৷ এদিকে অভিযুক্ত চুল কারখানার মালিক মুজিবর রহমান ও তার ছেলে সুজনের সন্ধান না পাওয়ায় তাদের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি৷
এব্যাপারে খতিয়ে দেখে শ্রমিকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন ১নং ভাঁরশো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন৷
এই বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, কোন শ্রমিক যদি অভিযোগ দেয় তাহলে দ্রুতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন ও গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন