নওগাঁর রাণীনগরে খাস পুকুর খনন করে ১৪লাখ টাকার মাটি বিক্রির অভিযোগ

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার লোহাচুড়া গ্রামে প্রায় চার বিঘা জলকরের একটি খাস পুকুর ৩০/৩৫ফিট গভীর করে খনন করে প্রায় ১৪লাখ টাকার মাটি বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। অতি গভীর খনন করায় পুকুরটিও চাষ অনুপযোগী হয়েছে পরেছে।
এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন খন্দকার বাদী হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার।
দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে. লোহাচুড়া গ্রামের জসিম উদ্দীন জেমস নামে কালিকাপুকুর নামে ১.৩৬একর একটি খাসপুকুর থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৪লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছেন। প্রসাশনিক কোন অনুমতি না থাকলেও অবৈধভাবে প্রায় ৩০/৩৫ফিট গভীর করে মাটি খনন করা হয়েছে।
এতে পুকুরটি চাষের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এছাড়া পুকুরের পাড় বাঁধার সময় দেলোয়ার হোসেনের জায়গা দখল করে মাঠি ফেলে ভরাট করা হয়েছে।
দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার সজিব হোসেন জানান,পুকুর খনন করে মাটি দিয়ে পুকুর সংলগ্ন আমাদের জায়গা ভরাট করে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ওই গ্রামের আখেরুজ্জামান মুকুলসহ বেশ কয়েকজন জবর দখল করেছে।
আমরা এঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার পেতে আখেরুজ্জামান মুকুল ও বিএনপির নেতা ও মাটি বিক্রেতা জসিম উদ্দীন জেমসসহ কয়েক জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছি। আসা করছি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার মিলবে।
এব্যাপারে আখেরুজ্জামান মুকুল বলেন,আমরা খাস পুকুরের পারের খাস জায়গা মাটি ভরাট করে চলাচলের রাস্তা বের করেছি। দেলোয়ারের কোন জায়গা দখল করিনি। তার পরেও মাপযোগ করে যদি জায়গা দেলোয়ারের হয় তাহলে আমাদের কোন আপত্তি থাকবেনা।
এব্যাপারে বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন জেমস এর মোবাইল নাম্বারে একাধীকবার ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান বলেন, এঘটনায় গত ১৩এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন