নওগাঁর রাণীনগরে জোর করে গভীর নলকূপ দখলের অভিযোগ
নওগাঁর রাণীনগরে বিক্রিত গভীর নলকূপ জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ ওঠেছে। এতে যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে ঘটনাটি দ্রুত সমাধান করা না হলে চলতি মৌসুমে জমির ধান সেচের অভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। এঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার পেতে ভুক্তভোগি নাসিমা আরেফিনের (লতা) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,১৯৯০সালে উপজেলার লোহাচুড়া গ্রামের সাতজনের মালিকানায় ঋণের মাধ্যমে লোহাচুড়া মাঠে জমিতে পানি সেচ দিতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়।
পরবর্তিতে ২০১০সালে সাতজন মালিকের মধ্যে আমজাদ হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন তার অংশটি আরেক অংশীদার খন্দকার আমজাদ হোসেনের ছেলে সুলতানুল আরেফিনের স্ত্রী নাসিমা আরেফিনের (লতা) কাছে বিক্রি করে। আরেক অংশীদার মৃত-আমজাদ রহমান খন্দকারের ছেলে মিজানুর রহমান খন্দকার ২০১১সালে তার অংশটি লতার কাছে বিক্রি করেন।
একই বছর আরো চারজন অংশীদার খন্দকার আমজাদ হোসেনের ছেলে দেলোয়ার ও সুলতান আরেফিন, মৃত-চয়েন উদ্দিন খন্দকারের ছেলে আব্দুর রউফ খন্দকার ও খন্দকার শামসুল ইসলামের স্ত্রী মোছা: মনোয়ারা তাদের অংশ লতার কাছে বিক্রি করেন। এরপর থেকে গভীর নলকূপটি লতা ও তার পরিবার ভোগদখল করে আসছে।
এমতবস্থায় গত ৫আগস্ট সরকার পতনের পর সাবেক অংশীদার মৃত-মিজানুর রহমানের ছেলে খন্দকার মাহবুবুল আলম, খন্দকার মাকসুদুল কতিপয় লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক নলকূপ দখল করে ঘরে তালা দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে। অভিযোগকারীর ছেলে সন্তান নেই উল্লেখ করে বলেন, আমার ভাগিরা আমার সবকিছু জোরপূর্বক জোবরদখল করার পায়তারা করছে।
প্রতিনিয়তই আমাদের প্রাণনাশের হুমকি-ধামকী দিচ্ছে। নিরুপায় হয়ে আমার ছোট মেয়ে নুসরাত আরেফিন (ডটি) আগস্ট মাসে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেও এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কোন সমাধান আমরা পাইনি। এছাড়া সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতিতে নিজের বাড়িতেও যেতে পারছেননা। এমন সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বর্তমানে খুবই অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই দ্রুত সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান পূর্বক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন এমনটাই আশা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এব্যাপারে আমজাদ হোসেনের ছেলে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ অশিকার করে মোবাইল ফোনে বলেন,তারা সবগুলো কাগজপত্র জাল করে নলকূপটি তাদের মালিকানা দাবি করছে। আমরাও নলকূপের মালিকানার সঠিক সমাধান চাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মোহাইমেনা শারমীন বলেন এমন বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রতুই সমস্যাটি সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন