নওগাঁর সাপাহারে চাঁদা দাবী, পুকুর খননে বাধা প্রদান ও মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের মালিপুর গ্রামে চাঁদা না পেয়ে ভোগদখলীয় পুকুর খননে বাধা প্রদান ও মারপিটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সাপাহার থানায় দায়েরকৃত মামলার এজেহার সুত্রে জানাগেছে বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার নশরতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা (৫৫), সাপাহার উপজেলার মালিপুর মৌজার,জেএল নং-৩৪, আরএস খতিয়ান নং-১৯১, দাগ নং-৭২ জমির পরিমান ৮৯ শতক জলা সহ একটি পুকুর ক্রয় করে মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে ভোগদখল করে আসছিলেন। গত ১৯ মে ২০২৩ তিনি পুকুরের গভীরতা বৃদ্ধির জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে উল্লেখিত তফশিল ভুক্ত পুকুরে মাটি খনন করিতে গেলে ওই গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ(৩০) ও হাই বাবু (২৫) এর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ২০/৩৫ জনের সংর্ঘবদ্ধ একটি চত্রু তার পুকুর খননে বাধা প্রধান করে এবংবিবাদীগণ দাবী করেন যে, এই পুকুরে / মাটি খনন করতে হলে তাদের কে পুকুরের ১০ শতাংশ জমি লিখে দিতে হবে। তা না দিলে তাদের কে নগদ ১০,০০০০০ (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ সময় পুকুর মালিক পুকুরের জমি কিংবা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
উল্লেখ যে বিবাদীগণ ঘটনা স্থলে চাঁদা না পেয়ে হুকুম করে বলেন সালাদের মাটির সাথে মিশিয়ে দে। হুকুম পাওয়া মাত্র ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া নিয়ে তার শ্যালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন কে ধাওয়া করলে তার চাচী শাড়ী মোছাঃ আফরোজা বেগম বাধা দিলে ১নং বিবাদী চাচী শ্বাশুরীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বজোরে কোপ মারে। হাঁসুয়ার কোপ হাত দিয়া ঠেকাইতে গেলে তার ডান চোখের উপরিভাগে লাগে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।তিনি গুরুত্বর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে সকল বিবাদীগণ শরীরের বিভিন্নস্থানে বাশের লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে মারপিট করে কালশিরা জখম করে। ঘটনার সময় তার চাচা শ্বশুর মোঃ আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসলে অন্যান্য বিবাদীগণ তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে। তিনিও ঘাড়ে, পিঠে ও কোমড়ে ফুলা জখমপ্রাপ্ত হয়। আহতদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিযে এলে হামলাকারীরা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে চলে যায়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধারপূর্বক সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে জরুরী চিকিৎসা করায়ে আহত আমিরুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করলেও গুরুতর আহত তার চাচী শাশুড়ী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজ হোসেন ও বাবু জানান,
আমরা কোন চাঁদার দাবি করিনি,আমাদেরকে ফাঁসানোর জন মিথ্যাা অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।
এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে থানা পুলিশ জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবির জানিয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন