নতুন উপাচার্যের নিকট প্রত্যাশা-প্রাপ্তি
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2017/06/rangpur-begum-rokeya-university.jpg)
এইচ. এম নুর আলম. বেরোবি প্রতিনিধি : সকল অপেক্ষায় আর প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে বুধবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন নতুন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। আজ এক মুঠোফোনে তাঁর আসার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং ‘চিকনগুনিয়া’ রোগে আক্রান্তের কারণে সাময়িক বিলম্বে কাল যোগদান করবেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেই শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রদান এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন- বোনাস সমস্যার সমাধান করবেন বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রথমেই উপাচার্য কী করতে চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসেই দুটি সমস্যার সমাধান করতে চাই প্রথমে। একটি হলো শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন- বোনাস এবং দ্বিতীয়টি হলো শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রদান।
এ দিকে তাঁর আগমনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ শুভাকাক্ষীরা। ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ব্যাপক চাঞ্চল্যভাব বিরাজ করছে সকলের মনে। ইতোমধ্যে অনেকেই তাঁদের প্রত্যাশার কথাটি জানিয়েছেন গণমাধ্যমে।
উপাচার্যের কাছে প্রত্যাশার ব্যাপারে জানতে চাইলে, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে আন্তরিকতার সাথে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এবং সবার সকল সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মান উন্নয়ন করেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে আগে প্রধান্য দিতে হবে। এরপর অন্যান্যদের। উপাচার্য শিক্ষাবান্ধব হবেন। এটাই প্রত্যাশা করি। তিনি যেন তাঁর কর্মে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকেন। এটাই প্রত্যাশা করছি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো: নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং ইতিহাস ও প্রতœতত্ত¡ বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে (২০১১ সালের পর) শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইন অনুয়ায়ী পরিচালনা করবেন।শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আগে দেখবেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, সেশনজটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। তার উপর বিভাগে শিক্ষক সংকট। দীর্ঘদিন ধওে ফলাফল পাচ্ছি না।অতএব নতুন উপাচার্য এসে সকল বিভাগের এসব সমস্যা অতিদ্রæত সমাধান করবেন।
মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আগে আমাদের ফলাফল প্রয়োজন।
উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন,নতুন উপাচার্যের নিকট প্রত্যাশা তিনি যেন সকল বিভাগের সেশনজট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে, অধিকাংশ বিভাগই ঘোষিত-অঘোষিতভাবে দেড়/দুই বছরের সেশনজটে ভুগছে। এর বেশ কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে ফলাফল না দিতে পারা, পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকা এবং একজনের অধিক সংখ্যক পদে আসীন থাকা। যেটা এর পূর্বের উপাচার্য ছিলেন।
তবে সকলের প্রত্যাশা তিনি যেন সততার পরিচয় দিয়ে আন্তরিকতার সাথে বিদ্যমান সকল সমস্যার সমাধান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন