নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের ভাবনা
আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছে ২০২৩। শুরু হলো নতুন নতুন স্বপ্ন, নিয়ে নতুন আরেকট বছর। নতুন বছর নিয়ে আশা-প্রত্যাশা, চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এমনই কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজেদের ভাবনা-চিন্তা জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের ছাত্র মো: সিনান তালুকদার।
জান্নাতুল ফেরদৌস ঊষা
বিএমবি বিভাগ :
দেখতে দেখতে ২০২৩ বছরটা ক্যালেন্ডারের বুকে জমা পড়ে গেল ৷ অথচ এক একটা ক্যালেন্ডার পাড়ি দেওয়ার পিছনে আমাদের কত গল্প৷ ২০২৩ সাল কনকনে শুভ্র সকালে যখন প্রথম ভার্সিটির গেটে এসে দাড়ালাম তখন অজানার হাতছানি, কিচ্ছু জানি না কি হতে যাচ্ছে তবে যেটা একদমই জানতাম না সেদিন সেটা ছিল “আই এম লিভিং মাই হোম ফর ফরইভার”।শুরু হলো জীবনের নতুন শুরু।।পুরোটা বছর কেটে গেলে , ২০২৩ এর শেষ অংশে বাসায় ফিরেছি৷
কিন্তু একি ৫ দিন পরেই বুঝতে পারলাম আমি বাসায় ফিরিনি, নিজের ঘরে নিজেই এসেছিলাম ঘুরতে- চেনা বালিশে গড়িয়ে নিতে! নতুন বছরের প্রথম কাজটি হলো আমাকে বাড়ি ছাড়তে হবে ৷ বিগত বছরগুলো অনেক কিন্তু দেখেছি , শিখেছি৷ মিলতে মিলতেও যে হিসেব মিলাতে পারেনি সে হিসেব নিয়ে মন খারাপ না করতে শিখে গেছি৷ নতুন বছর নিজের মধ্যে আরও নতুনত্ব নিয়ে আসুক ৷ আর একটু এগোতে পারি যেন, ছেড়া শিরাগুলোকে চেপে ধরে হাটতে পারি যেন। নতুন বছরে কাছের মানুষগুলোকে বেধে রাখতে পারি যেন৷ কথা দিলাম ভালোবাসায় মুড়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে রাখবো এবং থাকবোও৷ নতুন বছর যেন আমাদের জীবনে নতুন কিছু নিয়ে আসে এই প্রত্যাশ্যায় নতুন বছরকে বরণ করার দিন গুনছি ৷
আবির আহাম্মেদ
কৃষি বিভাগ:
একাকিত্ব ও হতাশার গ্লানি মুছে নতুন বছরকে গ্রহণ করতে চাই। ভালো কে গ্রহণ আর খারাপকে বর্জন করতে চাই।বর্তমান প্রজন্ম বিষন্নতা ও একাকিত্বের বেড়াজালে বন্দী। তারা সকলেই একা সময় কাটাতে পছন্দ করেন এবং এই একাকিত্বই পরবর্তীতে তাদের মনে হতাশা বয়ে আনে ফলে জীবন হয়ে পরে দুর্বিষহ। তাই আমাদের উচিত একাকিত্বের জীবন থেকে বেড়িয়ে এসে নিজের পরিবারকে সময় দেওয়া কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের পরিবার সব সময় আমাদের সাথে থাকে না স্পেসালি যারা ব্যাচেলর তারা। একটি পরিবারই একটি ভালো ফ্রেন্ড সার্কেলই সুন্দর ও সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি। নিজেদের সৃজনশীলতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব দিয়ে নিজের দেশের জন্য নিরন্তর কাজ করে এগিয়ে যাওয়া আমাদের নতুন প্রজন্মের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
ফারহানা ইয়াসমিন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ:
নতুন বছর মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা। শিক্ষার্থী হিসেবে আমি নতুন বছরকে স্বাগত জানাই অনেক আশা ও উদ্দীপনার সাথে।নতুন বছরে আমি আমার পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে চাই। আমি চাই ভালো ফলাফল অর্জন করে ভবিষ্যতে একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে। আমি চাই আমার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে। আমি চাই নতুন কিছু শিখতে এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে।নতুন বছরে আমি চাই আমার দেশকে আরও ভালোভাবে গড়ে তুলতে। আমি চাই আমার দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমি চাই আমার দেশের মানুষের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে।নতুন বছর মানেই নতুন সুযোগ। আমি চাই এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমার জীবনকে আরও অর্থবহ করে তুলতে। আমি চাই আমার স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করতে।আমি আমার নতুন বছরের পরিকল্পনাগুলো নিয়ে বেশ আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি যে আমি এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব।
আহনাফ সওদাগর তুরাব
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ:
এই নতুন বছরে শিক্ষার্থী হিসেবে আমার চাওয়া শিক্ষাব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আসুক, শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাক, শিক্ষার সুযোগ সকলের জন্য সমান হোক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক এবং একটি সুন্দর ও সৃজনশীল পরিবেশ যেখানে শিক্ষার্থীরা মেধা, প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। এর পাশাপাশি দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করতে পারবে।নতুন বছরকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের এসব ভাবনা ও প্রত্যাশা বাস্তবায়নের জন্য সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তাহমিনা ইয়াসমিন খান
কৃষি বিভাগ:
নতুন বছর মানেই নতুন সব সুযোগ। ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী হওয়ায় ২০২৩ এ অনেক নতুন মুখের সন্ধান পেয়েছি, নতুন সব জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছি, ব্যর্থতার গ্লানি মুছে আবার ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। আমি নতুন বছরে আরও অনেক নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী। ২০২৪ এ আমার প্রত্যাশা- এই বছরে দেশে বিরাজমান সমস্যাগুলোর সমাধান হোক, একটা প্রকৃত অর্থে স্বাধীন দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়ন হোক। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী এবং একজন নারী শিক্ষার্থী হিসেবে আমার ক্যাম্পাস, আমার আশপাশ আমার জন্য সুরক্ষিত হোক।
এই বছরটা আরও শিক্ষার্থীবান্ধব হোক, শিক্ষার নতুন সব দ্বার উন্মোচিত হোক।
আসিফুর ইসলাম সীমান্ত
বিএমবি বিভাগ:
২০২৩ শেষ হয়ে এসে গেলো ২০২৪।
নতুন বছরে সময় এসেছে নতুন কিছু নিয়ে ভাববার।বছরের শুরুটা হওয়া চাই জীবনমুখী কিছু পরিকল্পনা দিয়ে।সময়ের মূল্য অপরিসীম। মহামূল্যবান এই সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে সকলকে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করতে হবে।একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা সফলতার পথকে আরও সহজ করে তুলবে।ব্যর্থতা আর হতাশার ধাক্কায় হোঁচট খেলেও উঠে দাঁড়াতে হবে।কেননা গ্রীক দার্শনিক প্লেটো বলেছেন”আরম্ভই হলো যেকোনো কাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় “।আনন্দে ভরে উঠুক সবার জীবন।সবাইকে জানাই নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন