নরসিংদী ঢাকা—সিলেট মহাসড়কে বাসের বেপরোয়া গতিতে আহত ৬
নরসিংদীতে ঢাকা—সিলেট মহাসড়কে নারায়ণপুর এলাকায় সপ্তাহ না পেরোতেই আবারো লাবিবা পরিবহনের বেপরোয়া গতির কারনে আহত ৬। এই পরিবহনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং ও ট্রাফিক আইন তোয়াক্কা না করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার সময় ঢাকা—সিলেট মহাসড়ক এলাকার নারায়ণপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা লাবিবা পরিবহন দ্রুত গতিতে অন্য একটি বাসকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে পিক—আপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ করে। ঘটনাস্থলেই ৬ জন গুরুত্বর আহত হয় বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।
নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ জয়নাল মিয়া (৩৮) সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, এই লাবিবা পরিবহনটি সবসময়ই বেপরোয়া গতিতে চলে, ওভারটেকিং করতে গিয়ে দূর্ঘটনা করে। কিছুদিন আগেও ভিটি মরজাল এলাকায় রাত ১০টার দিকে দূর্ঘটনার ফলে ৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তবুও লাবিবা পরিবহনের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যার কারনে খুব সহজে তারা এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের দূর্ঘটনার জন্য তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
লাবিবা পরিবহনের বেপরোয়া গতি ওভারটেকিং এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পরিবহন সংশিষ্টরা বলছেন, দ্রুত গতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা লাবিবা পরিবহন যখন ঢাকা—সিলেট মহাসড়কে প্রবেশ করছে, তখনই ছোট যানবাহনকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে কিংবা বড় যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে।
ঢাকা—সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, সড়কের ছোট গাড়িকে চাপা দেওয়ার ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। অধিকাংশ সময়ই লাবিবা পরিবহনের জন্য এসব দূর্ঘটনা ঘটে। এর বাইরে অনেক ঘটনা ঘটে। কিন্তু কোনো ঘটনা গুরুতর না হলে সংবাদমাধ্যমে আসে না। ফলে এগুলো হিসাবের বাইরে থেকে যায়।
অপ্রশস্ত সড়কে গাড়িকে অতিক্রম করতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটছে। এ ছাড়া এই রুটে নতুন নতুন বাস চলছে। এসব চালকের এ রুট সম্পর্কে ধারণাও খুব কম।
হাইওয়ে পুলিশ সুপারমোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকর্মী রুদ্রকে মোবাইল ফোনেবলেন, শুধু লাবিবা পরিবহন না যে কোন পরিবহন দ্রুত গতির জন্য দায়ী। অপরাধী সংশ্লিষ্ট পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। ওভার স্পিডে কেউ গাড়ি চালালে তার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছি। ঢাকা—সিলেট মহাসড়কের থ্রি— হুইলার ও তিন চাকার যানবাহন না চলার জন্য প্রত্যেকটি থানাকে আমরা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের ডিআইজি স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন চালকদের মাঝে নেমপ্লেটসহ বিভিন্ন নতুন নিয়ম তৈরী করেছি। যা ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। যেহেতু আপনি আমাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন ঘটনাটি খবর নিয়ে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন