নরসিংদী মাদক সংগ্রহ সংক্রান্ত তর্কাতর্কির সময় খুন: ৩ মাদকসেবী বন্ধু গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-নরসিংদী সদর থানার শেখেরচর মোল্লাপাড়ার মোঃ জাকির হোসেনের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (২৪), মাধবদী থানার কুড়েরপাড় এলাকার মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ কবির হোসেন (২১), পলাশ থানার কুমারটেক এলাকার মোঃ জালালের ছেলে আহম্মাদ নাঈম (২৪)।

পিবিআই এর নরসিংদীর পুলিশ সুপার এস.এম. মোস্তাইন হোসেন জানান, নরসিংদী সদর থানার শেখেরচর মোল­াপাড়ার মানিক মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (২০) গত ৬ মে সন্ধ্যার আগে বাড়ি হতে বের হয়। এরপর হতে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

রাতে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুজির এক পর্যাযে পরদিন ৭ মে বাড়ি হতে ২ কিলোমিটার দূরের একটি ডোবার পাড়ে শুভ’র মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শুভ মিযার বড ভাই মোঃ সাহেদ মিযা বাদী হযে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায হত্যা মামলা করেন।

পরে থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই এর ক্রাইমসিন টিম হত্যার ঘটনার ছাযা তদন্ত শুর করে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোযন্দো তথ্যের ভিত্তিতে ২০ মে নারাযনগঞ্জের কাঁচপুর ও চাঁদপুরের মতলব এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান (২৪) এর নিকট হতে ভিকটিম শুভ মিযার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, শুভ মিযা ও গ্রেপ্তারকৃতরা পরস্পর বন্ধু। প্রায সময তারা বিভিন্ন স্থানে আড্ডা দিতো এবং মাদক সেবন করতো। গত ০৫ মে রাতে শুভ মিয়াসহ মোঃ হাবিবুর, কবির, নাঈম ও অন্য একজন বন্ধু একত্রে শুভর বাডরি পাশে মাদক সেবন করে। পরের দিন ০৬ মে সন্ধ্যায় শুভ মিয়া হাবিবকে মেসেঞ্জারে কল করে তার অবস্থান জানতে চায।

তখন হাবিবসহ অন্যান্যরা খিদিরপুর টেকপাডা জানের মুখ ব্রীজের উত্তর পাশে আছে বলে জানায়। প্রায আধা ঘন্টা পর শুভও সেখানে যায়। এসময় শুভ সহ আরও ৪ জন বন্ধু একত্রে মাদক সেবন করে। মাদক সেবনকালে মাদক সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষযে শুভর সাথে হাবিবের তর্কাতর্কি হয। একপর্যাযে আসামী হাবিবুর ভিকটিম শুভর গলাচেপে ধরে কিল, ঘুষি মারতে থাকে।

একই সাথে কবির, নাঈম ও অন্য একজন বন্ধু শুভ’র নাকে মুখে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি মারতে থাকে।
এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায পডে থাকা গর বাঁধার একটি দডি (রশি) পেযে শুভর গলায প্যাঁচ দিযে দুই দিক থেকে দডি টেনে ধরে তারা।

এতে শুভ মিযা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে মরদেহ রাস্তার পাশের ডোবায ফেলে দেয় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দড়ি (রশি) খালের পানিতে ছুড়ে মারে। হত্যার পর জড়িতরা অজ্ঞাত স্থানে পালিযে যায।

গ্রেপ্তারের পর তারা বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক হত্যার দায স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।এ ঘটনায জডতি পলাতক আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।