নরসিংদীতে এক ব্যক্তির হাতের কব্জি কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা!
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের নিরীহ বাসিন্দা আবদুর রহমানের বাম হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও তার সারা শরীরে এলোপাথারী মারপিট করেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, প্রতিদিনের মত আবদুর রহমান কাদির মোল্লা গার্মেন্টসে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিল। এমন সময় প্রতিবেশী সোরাফ এবং মজনু তাদের বাহিনী নিয়ে অসহায় আবদুর রহমান এর উপর অস্ত্র সহ ঝাপিয়ে পড়ে। কোন কিছু বুঝিয়ে উঠার আগেই সোরাফ ও মজনু তার বাহিনী নিয়ে আবদুর রহমানকে মাটিতে ফেলে বুকের উপর পা রেখে চাপ দিয়ে হাতের কব্জি নির্মম ভাবে কেটে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসময় প্রতিবেশী শাহিনুর আক্তার সংবাদকর্মী রুদ্রকে জানান, সোরাফ এবং মজনু মিয়াদের সাথে আবদুর রহমানের পূর্ব শত্রæতা ছিল। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে কেন্দ্র করে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছিল। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে আবদুর রহমানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয়, নরসিংদী সদর হাসাপাতালে। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আবদুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় জখমী আবদুর রহমান সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে বলেন, সন্ত্রাসী সোরাফ এবং মজনু চাপাতি দিয়ে নির্মম ভাবে আমার বুকের উপর পাড়া দিয়ে আমার হাতের কব্জি কেঁটে নিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাচ্ছি এবং নরসিংদী জেলার মাননীয় পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রæতার বিস্তার বা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এই নেক্কারজনক ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন