নরসিংদীতে মেঘনার তীব্র স্রোতে বিলীন হচ্ছে নজরপুরের টেক চরাঞ্চল
নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রাম সহ বেশ কিছু এলাকায় বর্ষাকাল আসার আগেই মেঘনার তীব্র স্রোতে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মেঘনার তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। হুমকির মুখে পডেেছ মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার জনগন।
নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর, করিমপুর, চরদীঘলদী ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি চর এলাকা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যেই বেডবিাঁধ নির্মাণ কাজ শুর হযেেছ যা বর্তমানে শেষের দিকে।
কিছু কিছু এলাকায় বেডবিাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু এবার বর্ষা আসার আগেই মেঘনার ঢেউযরে তীব্র তোডে বিলীন হযে যাচ্ছে চরাঞ্চলের মেঘনা তীরের কৃষি জমিগুলো। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা গুলোর মধ্যে সবচেযে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মিনি কক্সবাজার খ্যাত নজরপুরের টেক।
নজরপুরে গিযে দেখা যায তিনদিকে নদীবেষ্টিত প্রাকৃতিক নযনাভিরাম নজরপুরের টেকের শতশত বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হযে ভ্রমন পিপাসুদের পদভারে মুখরিত স্থানটি বিরান ভূমিতে পরিণত হযেেছ।
স্থানীয় চরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, জোয়ারের পানির তোড়ে ভেঙে নদীর তীরবর্তী জমিগুলোসহ নজরপুরের মিনি কক্সবাজার খ্যাত টেকটি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শত বৎসরের ঐতিহ্যবাহী এ টেকটিকে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এলাকার জনগন।
নজরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম ফকির বলেন, ৩ কিলোমিটার বিস্তৃত মনোমুগ্ধকর চরের ৪টি সেট ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হযে গেছে। যেটুকু আছে সেটুকু ও যদি চলে যায তাহলে এই এলাকার কৃষকদের বেঁচে থাকার আর কোন পথ থাকবে না । আমরা সরকারের নিকট দ্রত এই সমস্যার সমাধান চাই।
তিনি আরো বলেন, যে দিকে বেড়িবাঁধের বেশি প্রয়োজন ছিল সে দিকে না করে বিলাসিতার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে অথচ এই এলাকার কৃষকরা কৃষি জমি হারিয়ে দিশেহারা আমরা খুব দ্রত এর সমাধান চাই।
ইউনুছ ফকির নামে অপর এক এলকাবাসী বলেন, ‘সাডে তিনমাইল বিস্তৃত চরের দেড মাইল ই ভেঙ্গে গেছে। এমতাবস্থায সরকার যদি এখানে বেডবিাঁধ নির্মাণ করে না দেয তাহলে আমাদের চলতে ফিরতে সুবিধা হবে।
মোঃ হাসান মিয়া নামে আরেক জন গ্রামবাসী বলেন, আমাদের অধিকাংশ জমি নদীগর্ভে বিলীন হযে গেছে। যেটুকু রযেেছ সেটুকুতে সরকার যদি বেডবাঁধের ব্যাবস্থা করে দেয তাহলে ছেলে মেযদের নিযে কোনরকমে চলে যেতে পারব’। আমরা এক সময় এখানে আলু, কড়লা তরমুজ সহ বিভিন্ন ফসল চাষ করতাম এখন বেশি ভাগ জমিই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে যে টুকু আছে তা নিয়ে সংকিত এসময় উপস্থিত মোঃ চাঁন মিয়া বকশি নামে আরেক গ্রামবাসী তিনি বলেন , আমাদের সবকিছুই নদী কেঁড়ে নিযেেছ। আপনাদের মাধ্যমে অবশিষ্ট জমি রক্ষার্থে সরকারের নিকট বেডবিাঁধ নির্মাণের আহবাণ জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী সুলমান মিয়া জানান আমাদের পূর্ব পুরষরা দেখেছি এখানে নানান রকম ফসল চাষ করতো এখন দেখি পানি আর পানি যে টুকু জমি নদীতে বিলীন হয়েছে সেখানে সাঁতার কেটেও যেতে পারবো না।
এ ব্যাপারে নরসিংদী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মেঘনা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্পের কাজ চলমান রযেেছ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রামের বেড়িবাঁধ দৃশ্যমান হয়েছে। ওইসব বেড়িবাঁধে মেঘনার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
এছাড়া ও নজরপুরের ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত এলাকাটির বিষয়ে অবগত রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ইকো পার্ক করার বিষযে প্রস্তাবনা দেওযা হযেেছ। এ বর্ষার শুরতে যে সকল এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ছে সেখানে দ্রত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন