নরসিংদীর পৃথক পৃথক স্থানে বজ্রপাতে এক শিশু ও প্রবাসীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে জেলার রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর এলকার ফকিরের চর, নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এবং মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামে ঘটনাগুলো ঘটে।

নিহতরা হলেন, রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী শামসুন্নাহার (৪৫), নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২) ও মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে প্রবাস ফেরত রায়হান মিয়া (২৫)।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ২টার দিকে রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুরে বাড়ির সামনের মাঠে ফুটবল খেলছিলো কয়েকজন শিশু। এসময় বজ্রপাত হলে জাবেদ (১২), শিমুল (১১), রিয়াজুল (১২) ও হাসান (১১) আহত হয়। পরে গুরতর অবস্থায় জাবেদকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আক্তারজ্জামান শামীম বলেন, শিশুরা মাঠে ফুটবল খেলছিলো। এসময় বজ্রপাত হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খেলতে গিয়ে এমনভাবে শিশুর মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এছাড়া, সকালে বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে খড় আনতে যান রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের শামসুন্নাহার। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান শামসুন্নাহার। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। দুপুরে খবর পেয়ে রায়পুরা থানার এসআই ফয়সাল আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন।

শ্রীনগর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, খড় আনতে বাড়ির পাশে জমিতে গিয়েছিলেন শামসুন্নাহার। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি মারা যান।

এদিকে, দুপুরে মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামে রায়হান মিয়া নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক বজ্রপাতে মারা গেছেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, তিন মাসের ছুটিতে একমাস আগে রায়হান কাতার থেকে দেশে আসেন। কোরবানির ঈদের পর কাতারে চলে যাওয়ার কথা ছিলো তার। কিন্তু আজ দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশের ঈদগাঁহ মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হলে তিনি আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন।

দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ মাহমুদ খাঁন বাহালুল বলেন, মারা যাওয়া রায়হানের বাবাও কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। আজ রায়হান বজ্রপাতে মারা গেলো।