নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পর্যটন দিবস উপলক্ষে ওয়েবিনার
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) পর্যটন দিবস ২০২১ উপলক্ষে ‘রিসেন্ট ডেভেলপমেন্ট অব ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাসিলিটিস ইন দ্যা ট্যুরিজম সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সেন্টার ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার রিসার্চ এন্ড সার্ভিসেস (সিআইআরএস) কর্তৃক গত ২৮শে সেপ্টেম্বর পর্যটন দিবস ২০২১ উপলক্ষে ‘রিসেন্ট ডেভেলপমেন্ট অব ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাসিলিটিস ইন দ্যা ট্যুরিজম সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য ব্রাহ্মানবাড়িয়া ৩ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর সদ্য বিদায়ী এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর সিইও জাবেদ আহমেদ ও এনএসইউ বিজনেস স্কুল এর ডীন অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী।
বিশেষ বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হস্পিটালিটি বিভাগের প্রধান ড. সান্তুশ কুমার দেব।
অধিবেশনের সূচনা বক্তব্য রাখেন সিআইআরএস এর পরিচালক ও মডারেটর অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশকে সৌন্দর্যের দেশ বলে উল্লেখ করেন এবং উল্লেখ করেন বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধির সাথে সাথে পর্যটনের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
পবন চৌধুরী পর্যটন খাতের জন্য মৌলিক অবকাঠামোগত সুবিধার উন্নয়নে বেজার সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে সাব্রং, নাফ এবং সোনাদিয়া কে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলা। তিনি আশ্বাস দেন এই বিশেষ পর্যটন অঞ্চলগুলি প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে একটি বিপ্লব আসবে, যা দেশ – বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। অন্যান্য বক্তারাও ইতিবাচক মত দিয়েছেন যে বাংলাদেশের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এবং মৌলিক অবকাঠামো, পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতার মান এবং সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের সার্বিক পেশাদারিত্ব বিকাশের মতো বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া উচিৎ।
প্রধান অতিথি তাঁর আলোচনায় দেশি – বিদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য বাংলাদেশের মানুষের সামগ্রিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ওপর জোর দেন।
অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম একটি সম্ভাব্য খাত হিসেবে পর্যটনকে সমৃদ্ধ করার জন্য নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, অবকাঠামোগত সুবিধার উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক উন্নতির বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব আরোপ করে অধিবেশন শেষ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন