না ফেরার দেশে ইবি কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব, প্রশাসনের শোক
সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও কাম খতিব ড. আ স ম শোয়াইব আহমাদ। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১০ জুন) রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা হাসপাতালে আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার সহকর্মী ও পারিবারিক সূত্র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মরহুমের নামাজে জানাযা আজ রবিবার (১১জুন) বাদ আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে শোকবার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
পৃথক-পৃথক শোক-বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান খতিবের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
এছাড়াও তাঁর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শাখা ছাত্রলীগসহ সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শোকবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ জুন) গ্রিনলাইন বাসে ক্যাম্পাস থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ড. শোয়াইব আহমদ। পথে মাগুরা পৌঁছানোর পর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। এতে ড. শোয়াইব আহমদ মারাত্মক আহত হলে প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে বমি করার পর জ্ঞান হারান তিনি। পরে তাকে ঢাকার কল্যাণপুরের ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে থাকার ২৪ ঘন্টা পর জ্ঞান ফেরে তার। তখন কথা বলতে না পারলেও সবার দিকে তাকাচ্ছিলে তিনি। আইসিইউতে থাকাকালীন প্রথমদিকে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও গতকাল রাত থেকে আবারো অবস্থার অবনতি ঘটে বলে জানান তার ছেলে আব্দুলাহ। পরে রাত সোয়া এগারোটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ড. শোয়াইব আহমাদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২৬ বছরের অধিক সময় ধরে তিনি ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরের সহচর ও আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ইমামতির পাশাপাশি তিনি ধর্ম প্রচার, অর্থসহ আল কোরআন ও সালাত শিক্ষা, হিফযুল কোরআন কোর্স, ইংরেজি ও আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করতেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন