নানক-নাছিমদের মনোনয়ন না পাওয়ার কারণ জানালেন কাদের
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি দলটির একাধিক প্রভাবশালী নেতা। তাদের বাদ পড়ার কারণ কী? রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে চায়ের দোকানেও এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
সেই আলোচনার রাশ টানতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন তাদের মনোনয়ন না পাওয়ার প্রকৃত কারণ।
তিনি বলছেন, নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ার পরও বেশ কয়েকজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও তারা তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু, আওয়ামী লীগ চায় এ সকল নেতাদের নির্বাচনকালীন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে। নির্বচনে তাদের কাজে লাগাতে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার।
বুধবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন: সাংগঠনিকভাবে দক্ষ এমন ৪-৫ জন নেতাকে আমাদের নেত্রীর সিদ্ধান্তে মনোময়ন দেওয়া হয়নি। যেটা ভারতের বিজেপি-কংগ্রেস করে থাকে। আমাদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল এবং আরেকজন অর্গানাইজিং সেক্রেটারি আহমদ হোসেনসহ কয়েকজন নির্বাচনে অংশ নিবে না।
তাদের গণভবনে ডেকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি তার চিন্তার কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী গতকাল তাদের গণভবনে ডেকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, আরো কিছু পরামর্শ দেবেন। আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই। কারণ তাদেরকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, কি কারণে তাদের মনোনয়ন দেয়া হলো না। এতে করে তারাও অপমানিত হন।
ভারতের মতো প্রাচীনতম গণতান্ত্রিক দেশে অনেক বড় বড় নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন না বলে এ সময় যোগ করেন কাদের।
জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার শাকিলা ফারজানাকে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে। এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক?
জবাবে তিনি বলেন: শাকিলা ফারজানা জঙ্গি বলেই মনোনয়ন পেয়েছে। জঙ্গিবাদের তৎপরতার সঙ্গে জড়িত অনেকেই বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাচ্ছে। যদিও তারা এখনো ঘোষণা করেননি। কিন্তু মনোনয়ন পাবেন। এটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিএনপি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এটা আমরা অনেক দিন ধরে বলে আসছি। যারা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে তারাই তারা জঙ্গি। বিএনপি তাদের মনোনয়ন দেবে মনোনয়ন এটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
১৫৪ জন সেনা কর্মকর্তার আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কাদের বলেন: সেনা কর্মকর্তাদের আওয়ামী লীগে যোগদান পজিটিভলি দেখছি। তারাতো মনোনয়ন চান না। এমন সময় তারা যোগ দিয়েছেন যখন মনোনয়ন চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করতে তারা সহযোগিতা করতে চান। আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে চান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন