নারী সঙ্গ পেতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে যেসব দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের!

কিছুদিন আগেই কাশ্মিরে লস্কর জঙ্গি আবু দুজানাকে এনকাউন্টারে মারে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছিল, এক মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সেনার জালে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই এনকাউন্টারে মারা যায় সে। নিজের স্ত্রী ছাড়াও কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছল আবু।

এককথায় বলা যায়, উপত্যকার মহিলাদের কাছে ত্রাস ছিল সে। আর এই মহিলাঘটিত সম্পর্কের নেশাতে পা দিয়েই সেনার এনকাউন্টারের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় লস্কর কমান্ডার আবু দুজানা। শুধু আবু নয়, বিভিন্ন সময়ে কাশ্মীর উপত্যকায় একাধিক জঙ্গি মহিলাঘটিত কারণে সহজেই চলে এসেছিল সেনাবাহিনীর জালে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত জঙ্গিদের কীভাবে জালে এনে এনকাউন্টার করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জঙ্গিদের প্রেমের খেলায় কিমবা পাশবিক অত্যাচারে অত্যিষ্ট হয়ে, তাদের সম্পর্কে পুলিশ পর্যন্ত খবর পৌঁছে দিয়েছে তাদের কাশ্মীরি ‘গার্লফ্রেন্ড’রাই।

পাক মদত পুষ্ট জঙ্গি তথা কাশ্মীররের ‘পোস্টার বয়’ বুরহান ওয়ানির সেনা এনকাউন্টারে মৃত্যু নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। তবে এর আগে, এই কাশ্মীরেরই এক মহিলা বুরহানের প্রেমের খেলায় অত্যিষ্ট হয়ে তার সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পুলিশকে দিয়ে দেয় বলে খবর।

এক প্রথম সারির সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বুরহান ওয়ানির, গোটা কাশ্মীরে একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কাশ্মীরের একাধিক ভদ্র পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বুরহানের ‘প্রেম প্রেম খেলা’ চলেছে। যাতে বিরক্ত হয়ে, তার এক সাবেক প্রেমিকা বুরহান সম্পর্কে খবর দিয়ে দেয় সেনাকে। যার সূত্র ধরেই কুখ্যাত জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে শেষ করে দেয় ভারতীয় সেনা।

২০১৬ সালে এই লস্কর জঙ্গিকে খতম করতে বেশি বেগ পেতে হয়নি সেনাকে। মট্টু, মহিলা আসক্তিতে এতটাই মেতে ছিল যে তার সম্পর্কে খবর পাওয়া সহজ হয়ে উঠছিল ভারতীয় সেনার পক্ষে। উপত্যকার অরওয়ানি এলাকার এক কাশ্মীরি মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্কের জেরেই নেমে ধেয়ে আসে মট্টুর মৃত্যু।

কাশ্মীরের মহিলারা এক সময়ে আবু দুজানার নামে ভয়ে কাঁপতেন বলে খবর। শোনা যায় একাধিক পরিবারের মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল দুজানা। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কাশ্মীর জুড়ে তার একাধিক অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাই পুলওয়ামায় তার বিবাহবহির্ভূত বান্ধবীর সঙ্গে যখন সে দেখা করতে যায়, তখনই সেনার জালে ধরা পড়ে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় লস্কর কমান্ডার জঙ্গি আবু দুজানা।

এবছরের জুলাই মাসেই খতম হয় বশির ওয়ানি নামে এক পাক মদত পুষ্ট জঙ্গি, যার দুর্বলতা ছিল কাশ্মীরের দিয়ালগামের এক মহিলা। অন্যদিকে, সোপোরের দানিশ দার, তার প্রেমিকার বাড়িতে প্রায়ই লুকিয়ে থাকত সেনার হাত থেকে বাঁচতে। আর সেই তথ্য সেনা ও পুলিশের কাছে যেতেই, খতম হতে হয় কুখ্যাত জঙ্গি দানিশকে।

কাশ্মীরি মহিলাদের সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্কের খবর এর আগেও এসেছে। যার দ্বারা জঙ্গিদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছে তাদের খতম করতে পেরেছে সেনা। ১৯৯৯ সালে কাশ্মীরের এক পিডাব্লিউডি ইঞ্জিনিয়ারের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় জঙ্গি আবু তালহার। মেয়েকে তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্যও বার বার চাপ দিতে থাকে আবু। এরপরই ইঞ্জিনিয়ার আবু সম্পর্কে যাবতীয় খবর দেয় পুলিশকে। আর সেই সূত্রেই এনকাউন্টার হয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি আবু তলহা।

২০১২ সালে সেই মহিলা ঘটিত কারণেই মৃত্যুর মুখ দেখতে হয় আরেক লস্কর জঙ্গি আবদুল্লাহ উনিকে। তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য স্বেচ্ছায় পুলিশকে দিয়েছিল তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। যার ফলে সোপরে তাকে এনকাউন্টার মারে ভারতীয় সেনা।