নাশকতাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নাশকতামূলক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করার মত সাহস তারা কোথা থেকে পায়, এটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। যারা নাশকতা চালিয়েছে তাদের অনেকেই স্থানীয় লোক নয়। তারা বহিরাগত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছোট ছোট গত্রে বিভক্ত হয়ে মাঝিপাড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ২৮টি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার প্রশ্ন, আমাদের পীরগঞ্জ উপজেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা উজ্জল উদাহরণ ছিল। এবারের দুর্গাপূজায় উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৯৮টি মন্ডপে সুষ্ঠুভাবে পুজা উদ্যাপিত হয়েছে। তার পরেও কেন এই নাশকতার ঘটনা আমাদের দেখতে হলো- কারা এই বহিরাগত! কেন তারা এই ধরণের অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটালো?
মঙ্গলবার বিকালে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া পরিদর্শনে গিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গত রোববার রাতে নির্মমতার শিকার গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগীতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, হামলাকারীদের সাথে নাকি পেট্রোল ছিল, ঘটনা পরিকল্পিত, এ পরিকল্পনার পেছনে কারা জড়িত তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী কারা এবং প্লানিং-এ কারা জড়িত তাদের সনাক্ত করে আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ইতোমধ্যে ৪১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে তরুণ ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছিল সেই পরিতোষকেও গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। কাজেই যারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে কঠোরতম আইনের আওতায় এনে বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এ ধরণের ঘটনা যেন পীরগঞ্জের মাটিতে আর কখনো না ঘটে। এ জন্য আমাদের প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র এসএম তাজিমুল ইসলাম শামীম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায়সহ স্থানীয় আ’লীগ দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন