নিখোঁজের ১১ বছর পর দেশে ফিরল ৪ সন্তানের জননী শান্তনা

নিখোঁজের ১১ বছর পর দেশে ফিরল ৪ সন্তানের জননী শান্তনা বাড়ি ফিরছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বেনাপোলে পৌঁছান শান্তনা। দুই দেশের ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে শান্তনাকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

অবৈধ পথে ১১ বছর আগে ভারত গিয়ে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি এ নারী। তার ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয় স্বজন ১১ বছর পর কাছে পেয়ে খুব খুশি।

মানসিকভাবে অসুস্থ শান্তনা খোঁজহীন হয়ে পড়েন আজ থেকে ১১ বছর আগে। পশ্চিমবঙ্গের ঈশ্বর সংকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ক তপন প্রধানের সহায়তায় বাংলাদেশের ঢাকার সংবাদকর্মী ও ফটো সাংবাদিক শামসুল হুদার মাধ্যমে শান্তনার খোঁজ পায় তার পরিবার।

ফেরত আসা নারী শান্তনা বেগম গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রাজিবপুর গ্রামের আবুল সালামের মেয়ে। তার স্বামী স্থানীয় একটি আদালতে মহুরীর কাজ করতেন।

শান্তনার পরিবারের লোকজন জানান, শান্তনা মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। দাম্পত্য জীবনে তিনি ৪টি পুত্র সন্তানের জননী। পরিবার থেকে শান্তনা প্রায় প্রায় নিখোঁজ হতেন। পরে খোঁজ পাওয়া যেত।

সর্বশেষ নিখোঁজের ১১ বছর পর ভারতের কানপুরের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে গত বছরের ১৭ জুলাই তার সন্ধ্যান পান পশ্চিমবঙ্গের ঈশ্বর সংকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ক তপন প্রধান। তপন প্রধান এবং বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিক শামসুল হুদার সহায়তায় শান্তনা আজ দেশে ফিরল।

এ নিয়ে ৫৬ জন নাগরিক দেশে ফিরলো সাংবাদিক শামসুল হুদার মাধ্যমে।

বেনাপোল পোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার খাইরুল ইসলাম জানান, ‘ইমিগ্রেশনের পুলিশ আনুষ্ঠানিকতা শেষে শান্তনাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখান থেকে শামসুল হুদার মাধ্যমে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের এনজিও সংস্থা তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।