নির্বাচন কমিশনের কী করার আছে? প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত সোমবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গাড়িতে হামলাকারী যে দলের হোক তদন্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে আমার আপত্তি নেই।
মঙ্গলবার বিকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, গত ১০ বছরে বিএনপি ১০ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি মওদুদ আহমদকে বলেছিলাম, আপনার নির্বাচনী পোস্টার লাগাতে আমি নিজেই সহযোগিতা করব। তবে আমার নির্বাচনী এলাকায় আমার অনুপস্থিতে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা মওদুদ আহমদকে উদ্দেশ করে উসকানিমূলক আচরণ করেনি এটা আমি বলব না।
তিনি বলেন, আমার আসনে গণসংযোগ ও পথসভা করতে গেলে হাজার হাজার মানুষ আসে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গণসংযোগ ও পথসভা করতে গেলে ভোটাররা আসেন না। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তিনি এখন গণসংযোগ করবেন না বলেই সরে গেছেন। মওদুদ আহমদ এ আসনে গত ২২ বছর বারবার ওয়াদা করে কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেননি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় আনাচ-কানাচ রাস্তা সংস্কার বা মেরামত, বিদ্যালয়, কলেজ, নতুন ভবন ও সংস্কার করেছি। এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে শোডাউন করেছেন। এটা কী? নির্বাচন আচরণবিধি পড়েনি? এ এলাকায় নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা ঘটেনি এটা আমি অস্বীকার করব না। ২০ দলীয় জোট বারবার বলেছে, খালেদা জিয়া ছাড়া তারা নির্বাচন করবে না। এখন নির্বাচনে গিয়ে বলে আমাদের লাশ পড়ে গেলেও নির্বাচন থেকে সরে যাব না। এখানে নির্বাচন কমিশনের কী করার আছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া একজন ছেলে হারানো মা এটা আমি বিশ্বাস করি সমবেদনা জ্ঞাপনও করি। এ ব্যাপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জ্ঞাপন করতে খালেদার জিয়ার বাসায় গেলে প্রধান গেট বন্ধ করে যেতে না দেয়ায় লজ্জিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসেন।
তারেক রহমানের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি হান্নান নিজেই স্বীকার করেছে হাওয়া ভবন থেকে তাকে গ্রেনেড হামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই গ্রেনেড হামলায় আমি নিজে আহত হয়ে চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে হয়। এসব সত্যকে তারেক রহমান পাশ কেটে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা খুনি মেজর ডালিমকে মেজর জিয়াউর রহমান সহযোগিতা করে বিদেশে পাঠিয়েছেন। ওই খুনের ঘটনায় যাতে বিচার না হয় সংবিধানে আইন করে বন্ধ করা হয়েছে।
জেলার আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও এমপি প্রার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা নির্বাচনকালীন সময় স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও বিএনপি প্রার্থীদের সঙ্গে কখনো অসদাচরণ, তাদের প্রচারে বাধা দেবেন না। অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় গণসংযোগ, পথসভা, প্রচার করবেন এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা ড. বশীর আহমেদ, নোয়াখালী পৌরসভা ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন