নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজটি কতটা ‘বিশ্বাসযোগ্য’ হবে?

নির্বাচন কতটা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে, সেটা দেখার জন্যই কাজ করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা।

কিন্তু নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা নিজেরাই যখন তাদের কাজটি ঠিকমত করতে পারবেন না, তখন তাদের পর্যবেক্ষণ রিপোর্টই বা কতটা বিশ্বাসযোগ্য হবে?

এ প্রশ্নের উত্তরে ইডাব্লিউজি’র নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমরা প্রথমে যে পরিকল্পনা করেছিলাম, তাতে আমাদের চিন্তা ছিল, প্রতিটি আসনে ৫০ জন করে ভ্রাম্যমান পর্যবেক্ষক থাকবেন। পাঁচজন করে যেহেতু একটি দলে সংগঠিত হতে হয়, সে হিসেবে প্রতিটি আসনে দশটি করে ভ্রাম্যমান পর্যবেক্ষক টিম থাকবে। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে, ৭টি সংগঠনের অনুমোদন লাভের ফলে আমরা ১৫ হাজার পর্যবেক্ষকের পরিবর্তে বড় জোর হয়তো ৫ হাজার পর্যবেক্ষক মোতায়েন করতে পারবো। বাকী জায়গাগুলো হয়তো আমাদের পর্যবেক্ষণের আওতার বাইরে থেকে যাবে।”

তিনি স্বীকার করেন যে তাদের পক্ষে এখন আর ৩০০ আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজটি করা সম্ভব হবে না।

“এখন রিয়েকশন টাইম নেই। কোয়ালিটি পর্যবেক্ষণ করতে হলে, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। সেই প্রশিক্ষণ দেয়ার মতো সময় এখন খুব একটা হাতে নেই। আর দ্বিতীয়ত রিস্ট্রাকচারিং করা, রিম্যাপিং করার সময়ও হাতে নেই।”

তিনি জানান, যে ৭টি সংগঠন পর্যবেক্ষণ কাজে অংশ নিচ্ছে, তাদের যেসব আসনে পর্যবেক্ষণ করার কথা, সেগুলোতেই তারা মনোযোগ দেবেন।

এ অবস্থায়কী নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাজের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কি প্রশ্ন উঠবে না?

এর উত্তরে তিনি বলেন, “এটা দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপার। একটা পানিভর্তি গ্লাসকে আপনি অর্ধেক খালি বা অর্ধেক ভর্তি দুটোই বলতে পারেন। তবে আমরা এটা বলতে পারি, যেসব আসনে আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবো, সেখানে পূর্ণাঙ্গ পেশাদারিত্বের সঙ্গেই সেটা করা হবে।”