নির্বাচনের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা: চুন্নু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, নির্বাচনের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। আমরা চেয়েছি, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, ভোটাররা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
শুক্রবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাঝে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
মো. মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো পন্থি নেই। জাতীয় পার্টিতে পন্থি একটাই, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। আমরা সবাই এরশাদপন্থি।
বেলা ১১টা থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়। জাতীয় পার্টি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপির সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (মেয়র), প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সৈয়দ দিদার বখত। শনিবার বেলা ১১টা থেকে খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের এবং পরদিন ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রিরও শেষ দিন ছিল শুক্রবার। এদিন ১৫টিসহ ১ হাজার ৭৫২টি ফরম বিক্রি করেছে দলটি।
এর আগে গণমাধ্যমকর্মীদের মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় বেগম রওশন এরশাদের অনেক অবদান ও ত্যাগ আছে। তিনি নির্বাচন করলে আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করব। বেগম রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ এখনো মনোনয়ন ফরম নেননি। বেগম রওশন এরশাদ আজও (শুক্রবার) আমাকে ফোন করেছিলেন, কাল (শনিবার) হয়তো তারা মনোনয়ন ফরম নিতে পারেন। হরতাল ও অবরোধের কারণে আমাদের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় আসতে পারেননি, তাদের জন্য ফরম বিতরণের সময় একদিন (আজ) বাড়ানো হয়েছে। বেগম রওশন এরশাদের জন্য কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই, তিনি যখন বলবেন তখনই মনোনয়ন ফরম দেওয়া হবে। বেগম রওশন এরশাদ চাইলে, মনোনয়ন ফরম তার বাসায় পৌঁছে দেব। তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, প্রায় সব আসনেই আমাদের একাধিক মনোনয়ন ফরম বিতরণ হয়েছে। প্রত্যাশিত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ চলছে, আশা করছি ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। কতদিন ধরে পার্টি করছেন এবং এলাকায় কতটা জনপ্রিয়তা আছে- তা বিবেচনা করেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। মনোনয়ন বোর্ডের মতামত বোর্ড সভাপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে জানানো হবে, তিনি মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন। পার্টি চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে মনোনয়ন পরিবর্তন করতেও পারবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ যদি কাজ করে অথবা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যদি প্রার্থী হয় তাকে আর পার্টিতে রাখা হবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন