নির্বাচনের সময় সংসদের কী হবে?
বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন সোমবার অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী সাংসদরা তাদের পদমর্যাদা এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের অধ্যাপক সীমা জামান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সংসদীয় পদ্ধতিতে যে নির্বাচনের কথা বলা আছে সে অনুযায়ী এই সংসদের শেষ অধিবেশনের ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
মিজ. জামান জানান, নির্বাচনের প্রয়োজনে সংসদ মুলতূবি করা হলেও সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি।
“এখানে কোথাও বলা নাই নির্বাচনের আগে সরকার বা মন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে হবে”, বলেন মিজ. সীমা জামান।
এখন যারা সাংসদ আছেন তারা পরবর্তী সংসদ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যই থাকবেন বলছেন মিজ. জামান।
নির্বাচনকালীন সময়ের মধ্যে সংসদ অধিবেশন বসতে পারে কী না, এ প্রশ্নের জবাবে মিজ জামান জানান জাতীয় কোনো জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে আবার সংসদ বসতে পারে। এবিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
নির্বাচনের সময় সাংসদদের ক্ষমতার পরিধি কী কমে যাবে?
মিজ সীমা জামান বলেন, “সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বাচনকালীন সময়ে সাংসদদের ক্ষমতা কমানো বা বাড়ানোর কোনো বিষয় নেই।”
তবে এই ক্ষেত্রে সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মিজ. জামান।
“সাংসদদের ক্ষমতা যদি সরকার কমাতে চায় তাহলে আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা কমাতে পারে”, জানান মিজ. জামান।
কিন্ত বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চলাকালীন তাদের ক্ষমতা কমার কোনো নিয়ম নেই বলে নিশ্চিত করেন মিজ. জামান।
কোনো জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে সংসদের অবস্থা কী হবে?
জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনের আগে সংসদ আবারো বসার বিষয়ে কোনো সাংবিধানিক বাধা নেই বলে জানান মিজ. জামান।
মিজ জামান বলেন, “জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে বা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি সংসদ আবার ডাকতে পারেন।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন