নিলামে কেনা বাইক রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে করণীয়
পুলিশ বা কাস্টমস্ কর্তৃক জব্দকৃত গাড়ি আদালতের নির্দেশে আয়োজিত নিলামের মাধ্যমে যে কেউ ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু নিলামের মাধ্যমে গাড়ি ক্রয় করার পর কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
যেটা জানতেন না করিম সাহেব। করিম সাহেব নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে সরকারী কোষাগারে টাকা জমা প্রদান করে একটি বাজাজ পালচার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল কিনলেন। মোটরসাইকেলটি করিম সাহেব কিছুদিন ব্যবহার করে নিকট বিক্রয় করতে গেলে পড়েন বিপত্তিতে।
গাড়ীর রেজিস্ট্রেশনের কোন কাগজপত্র না থাকায় এ বিপত্তি ঘটে। করিম সাহেব নিলামের গাড়ী কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় সে প্রক্রিয়ার বিষয়ে অবগত ছিলেন না। পাঠক, আপনি নিজেও এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই জেনে নিন নিলামে ক্রয়কৃত গাড়ির রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সমূহ।
নিলাম (অকশন) এ কেনা বাইক রেজিস্ট্রেশনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
যে কোন অকশন (থানা, কাস্টমস)
১। পেপার কাটিং (Paper Cutting)
২। সি.এস. কপি/ তুলনামূলক বিবরণী (C.S. Copy)
৩। সর্বোচ্চ দরপত্র গ্রহণ।
৪। বিক্রয় আদেশ।
৫। বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক সিসি নির্ধারণ।
৬। টাকা জমার রশিদ সমূহ।
৭। কাস্টমস অফিসারের মন্তব্য।
৮। কাস্টমস অফিসারের ছাড়পত্র।
৯। কাস্টমস ডেলিভারী অর্ডার।
১০। কাস্টমস ডেলিভারী মেমো।
১১। কাস্টমস ডেলিভারী ইনভয়েস।
১২। নিলাম ক্রেতার অঙ্গিকারনামা।
১৩। বিক্রেতার ১৫০ টাকার এফিডেভিট।
১৪। ক্রেতার ১৫০ টাকার এফিডেভিট।
১৬। টি.ও , টি.টি.ও , বিক্রয় রশিদ।
১৭। ক্রেতার টি.আই.এন. সার্টিফিকেট।
১৮। মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক গাড়িটি সরেজমিনে পরিদর্শন।
১৯। এইচ ফরম পূরণ।
২০। পরিচালক(ইঞ্জিঃ) বিআরটিএ এর অনুমোদন।
২১। টাকা জমার রশিদ সমূহ।
এরপর রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া সাধারণ বাইক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মতই। সাধারণ বাইক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া জানতে ক্লিক করুন এখানে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন