নিহতদের ১০ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে নগরীর চশমা হিলে মহিউদ্দিনের বাসায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৪০ মিনিট তিনি সেখানে অবস্থান করেন।

মহিউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন এবং দুই ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান নওফেল ও বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর নগরীর ১৩টি কমিউনিটি সেন্টারে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির আয়োজন করা হলে তার মধ্যে একটিতে পদদলিত হয়ে দশ জনের মৃত্যু হয়।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় ওই দশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা হয় প্রধানমন্ত্রীর। তিনি তাদের খোঁজ খবর নেন এবং সমবেদনা প্রকাশ করেন। নিহতদের ১০ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে তিনি বাসভবনের নিকটস্থ পারিবারিক কবরস্থানে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জেয়ারত করে আল্লাহর রহমত ও দোয়া কামনা করেন। ৪ টা ৫৫ মিনিটে তিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসা ত্যাগ করে বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে চলে যান।

জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, শনিবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফরের সাথে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনে যাওয়ার সুচি পান। এরপর নগরজুড়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়। বিশেষ করে বিমানবন্দর সড়ক থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসা পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। শহরের বিভিন্ন স্পটে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

তিনি জানান, শনিবার রাতেই এসএসএফসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের চৌকস সদস্যরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনের চারপাশে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে। সেই সাথে নগরীর বিভিন্ন সড়কপথ ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনের আশপাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রের মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ভাই বলে সম্বোধন করতেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

মহিউদ্দিন তার ৭৩ বছরের জীবনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে ছিলেন সামনের কাতারে।