নেত্রকোনায় বসত ঘরের সামনে বাঁশের বেড়া এক মাস ধরে অবরুদ্ধ কৃষক পরিবার

নেত্রকোনার মদনে বসত ঘরের সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে এক কৃষক পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও টাকা লুটপাট করায় ভুক্তভোগী কৃষক জামাল মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার এক সপ্তাহ সময় অতিবাহিত হলেও কোন রকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় ন্যায় বিচারের শঙ্কায় ভুগছেন কৃষক পরিবারটি।

স্থানীয় লোকজন ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের মাঘান গ্রামের কৃষক জামাল মিয়ার সাথে প্রতিবেশী ছোটন মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে তাকে। সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একমাস আগে প্রতিবেশী ছোটন মিয়া তার লোকজন নিয়ে কৃষক জামাল মিয়ার বসত ঘরের সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে দেয়।

অবরুদ্ধ পরিবারটি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েও কোন রকম সুরাহা পায়নি। এক মাস ধরে গবাদি পশু ও নিজের চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় প্রতিবাদ করলে ২৯ অক্টোবর ছোটন মিয়া তার লোকজন নিয়ে জামাল মিয়ার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

এ সময় বসত ঘর থেকে নগদ টাকা ও মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কৃষক জামাল মিয়া ২৯ অক্টোবর রাতেই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু এখন (৩ নভেম্বর রোববার ) পর্যন্ত কৃষক জামাল মিয়ার বসত ঘরের সামেন বাঁশের বেড়া সরানো হয়নি।

এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিন মাঘান গ্রামে গেলে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের লোকজন জামাল মিয়ার বসত ঘরের সামনে বাঁশের বেড়া দিয়েছে। এ সময় স্থানীয় মাসুদ মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, আলী আকবরসহ অনেকেই জানান,‘ ছোটন মিয়া জোরপূর্বক জামাল মিয়ার জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমরা বার বার বলেও বেড়া সরাতে পারিনি। এ নিয়ে আবার তর্কবিতর্ক হওয়ায় ছোটন মিয়ার তার লোকজন নিয়ে জামাল মিয়ার বসত ঘর ভাংচুর করেছে। এই ঘটনায় ন্যায় বিচার হওয়া দরকার।’

প্রতিপক্ষ ছোটন মিয়ার মা আয়েশা আক্তার বলেন,‘জামালের সাথে কিছু দিন আগে ঝগড়া হওয়ায় আমার ছেলেরা বাঁশের বেড়া দিয়েছে। এ নিয়ে এখন আবার ঝগড়া হয়েছে। তাই আমার ছেলে রাগের মাথায় দা দিয়ে তাদের বসত ঘরে কয়েকটা কুপ দিয়েছে। কিন্তু ঘরের মালামাল বা টাকা লুটপাট করেনি বলে জানান তিনি।’

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’