নেত্রকোনার দুগার্পুরে শিশু শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উত্তর কেট্টা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জোৎস্না আক্তার (১০), বড় বোন হুসনা খাতুন (১৮) ও মা সালেহা খাতুন (৫০) কে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে গেলে সাংবাদিকদের ঐ শিক্ষার্থীর অভিভাবক মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, জোৎস্নার বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। বড় বোনটি ঢাকার একটি বাসায় কাজ করে। ছেলের স্ত্রী বাড়িতে অল্প জায়গার নির্মিত টিনসেড ঘরে বসবাস করেন। একই গ্রামের বাবুল মিয়া প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় ঘরের পিছনে এসে নানান ধরণের অশ্লীল গালমন্দ করতো। গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) গালমন্দ করার বিষয়ে নিষেধ করায় অভিযুক্ত বাবুল মিয়া, অন্যান্য সাথী পুত্র সাদ্দাম হোসেন, আবুল কাশেম কে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঐ শিক্ষার্থী সহ অন্যদের ওপর হামলা করে। পরে তাদের ডাক—চিৎকারে প্রতিবেসীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ৪দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা মানিক মিয়া।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. রমজান আলী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাটি অত্যন্দ নিন্দনীয়। এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া দরকার।

দুগার্পুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, এ ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটির তদন্ত চলমান রয়েছে। অচিরেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।