নেত্রকোনার দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ পারা পারে নির্মিত বাঁশ-কাঠের সেতুর আয় ব্যয়ের স্বচ্ছ হিসাব উপস্থাপন

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের পাহাড়ি খরস্রোতা সোমেশ্বরী নদীর ওপর নির্মাণ করা অস্থায়ী বাঁশ-কাঠের সেতু থেকে পাঁচ মাসে আমদানি বা টোল আদায় হয়েছে ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪০ টাকা। (৫ জুলাই) শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য তুলে ধরেন দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ অস্থায়ী বাঁশ-কাঠের তৈরী সেতু কমিটির ব্যাক্তিবর্গরা।

এর আগে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্ব^র সাদামাটির পাহাড়, বিজয়পুর, রাণিখংসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের যাতায়াত সহজ করতে ও দুর্গাপুর থেকে শিবগঞ্জে গবাদিপশু, ছোট-বড় গাড়ি ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী স্বল্প সময়ের মধ্যে পারাপারের লক্ষ্যে বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কাায়সার কামালের নির্দেশ পরামর্শ ও সহযোগিতায় সোমেশ্বরী নদীর উপর বাঁশ-কাঠের একটি অস্থায়ী সেতু চালু করা নির্মান করা হয়।

অস্থায়ী এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১৫ লাখ ৪০ টাকা। এতে যাত্রী, গবাদিপশু সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও ছোট-বড় গাড়ির জন্য টোল নির্ধারিত করে দেন কর্তৃপক্ষ।
তবে চলতি বছরের ১৫ মে খরস্রোতা সোমেশ্বরী পাহাড়ি ঢলে অস্থায়ী বাঁশ-কাঠের সেতুটি ভেঙে যায়।

ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত বিগত পাঁচ মাসে অস্থায়ী এই সেতু থেকে আমদানি বা টোল আদায় হয়েছে ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪০ টাকা।

এর মধ্যে পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার বাবদ খরচ হয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার ৪০ টাকা। এ ছাড়া অস্থায়ী সেতু নির্মাণকালীন খরচ ১৫ লাখ ৪০ হাজার বাদ দিয়ে এপর্যন্ত অবশিষ্ট রয়েছে ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬০০। এই টাকা স্থানীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্গাপুর শিবগঞ্জ অস্থায়ী সেতু পরিচালনা কমিটি।

মতবিনিময় সভায় অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ জিন্নাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলম, তেরিবাজার বড় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আব্দুর রব, শিবগঞ্জ বায়ততুল তাকওয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. ওয়ালি উল্লাহ, কুল্লাগড়া শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রভাত চন্দ্র সাহা ও খ্রিস্ট ধর্মীয় প্রতিনিধি মিস্টার পংকজ সাংমাসহ অনেকে।