নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পারিবারিক কলহের জেরে হামলা—ভাংচুর

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে হামলা—ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মাহমুদুল হাসান।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন পৌর শহরের দেশওয়ালীপাড়া এলাকার মৃত নুরুল হক ফকিরের পুত্র মাওলানা সিরাজুল হক,এহতেসাম ও সদর ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ,কামরুজজ্জামান,মহসিনদের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্বেও বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিগনরা মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। পরবর্তীতে তারা অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় যে গ্রাম্য মড়ল দিয়ে কিছুই করতে পারস নাই,থানাওয়ালা দিয়ে কী করতে পারিস দেখবাম নে।

তিনি আরো বলেন,ঐ বিরোধ জের ধরে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম এক পযায়ে পথ চলাচলের রাস্তার উপর কাটা দিয়ে বেড়া দিয়েদেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জুবেদা খাতুন,তাসলিমা,মাসুদা খাতুন,ভাগিনা আবু ইউসুফ’কে তিনি ডেকে নেন। এ সময় বাকবিতন্ডা শুরু হয় এক পযার্য়ে লাটিসোটা দিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় তারা। মহিলাদের শরীরে রক্ষিত স্বর্ণের গহনা ছিনিয়ে নেন। মারধর করার পর হাসপাতালে আনতে বাধাও সৃষ্টি করেণ।

পরে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। গুরুতর আহত তাসলিমা বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। আহতদের বাড়িঘর অন্যান্য বসতিরা অভিযুক্তদের ভয়ে থাকতে পারছেন না। প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। যে কোন সময় প্রানণাশের ঘটনা ঘটতে পারে। এমন অবস্থায় ভয়ে দিনাতিপাত করছি আমরা। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,আঃ লতিফ,মুবাশ্বিও হাসান,হাসান আলী,খোকন মিয়া প্রমুখ।