নেত্রকোনার মদনে বরযাত্রীর গাড়িতে ডাকাতি, টাকা স্বর্ণালংকার মোবাইল লুট
নেত্রকোনার মদন পৌরসভার কেন্দুয়া রোড থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে কাঞ্জার খাল নামক স্থানে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই গাড়ির যাত্রীদের টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে। মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কাঞ্জারখালে গত রোববার রাত ৩টা ২০ মিনিটে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে এ ঘটনা ঘটে।
বরযাত্রী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় রোববার রাত ৩টা ২০ মিনিটে মদন পৌরসভায় কেন্দুয়ারোডস্থ ইদ্রিস মিয়ার বাসা থেকে পাবনায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরযাত্রী নিয়ে দুটি মাইক্রোবাস রওনা করে। কাঞ্জারখাল নামক স্থানে পৌঁছলে সড়কটি হেনট্রলি ও মাছের জাল দিয়ে অবরোধ করে রাখা হয়।
গাড়ি থামানোর সাথে সাথেই ৪/৫জন দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গাড়িতে হামলা করে। এ সময় কনের ৩ ভরি স্বর্ণালংকার সহ মেয়েদের গলা ও কান থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, সকল বরযাত্রীদের কাছ থেকে নগদ ৬০/৭০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এঘটনার পর বরের বড় ভাই ৯৯৯ এ কল দিলে ৪০ মিনিট পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এদিকে ডাকাতদের ভয়ে বরযাত্রী গাড়িটি কেন্দুয়া থানায় আশ্রয় নেয়। এসময় বরযাত্রীরা ড্রাইভার ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে পুলিশকে জানালে ড্রাইভারকে আটক করে। তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ২জন্য কেন্দুয়া থানায় সুপারিশ করতে আসলে তাদেরকেও আটক করা হয়।
পরে আটককৃতদের সহ মাইক্রোবাসটি মদন থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। মদন থানা পুলিশ আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বরযাত্রীর বড় ভাই মিজান জানান গাড়িটি ছাড়ার আগেই ড্রাইভারের গতিবিধি আমাদের সন্দেহ হয়। কাঞ্জারখালের পাশেই কেন্দুয়া থানার একটি পুলিশ বক্স স্থাপন করা আছে। কিন্তু রাতে বক্সে পুলিশ থাকলে এই ডাকাতি ঘটনা ঘটত না। আমাদের প্রায় ১০/১২ লক্ষ টাকা লুট হয়ে গেছে।
মদন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জল কান্তি সরকার জানান ডাকাতির ঘটনায় ভিকটিমের কথা মতো চালক সহ ৩জন কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন