নেত্রকোনার মদনে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণ

নেত্রকোনার মদনে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেযেটির মামা মঙ্গলরার (১৮ মার্চ) বিকালে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা যায, বাঁশরী মাঝার বাড়ি ৭ম শ্রেণির ছাত্রী রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার দিকে বাড়ীর পেছনে টয়লেট করতে গেলে একই গ্রামের উছেন মিয়ার বকাটে ছেলে আনোয়ার আগে থেকেই উৎপেতে থেকে মেয়েটিকে মুখে ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ সময় মেয়েটি ডাকচিৎকার দিতে চাইলে কাপড় দিয়ে মুখে চেপে ধরে। মেযেটি বাথরুম থেকে আসতে দেরি হচ্ছে দেখে পরিবারের লোকজন পাশের বাড়ির ঘরে যায়। কোন স্থানে না পেয়ে হতাশা গ্রস্ত হয়ে যায় পরিবাটি। কিছুক্ষণ পর মোবাইলে কল আসে।

মেযেটির মা চট্রগ্রামের গার্মেন্টসে কাজ করেন তাকে বকাটে ফোন করে জানায় আপনার মেযেকে আমি তুলে নিয়ে এসেছি। কি করবেন করেন? এমন খবর পেয়ে মেযেটির পরিবারের লোকজন বকাটে আনোয়ারের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে মেযেটিকে পায়নি এমনকি বকাটে আনোয়ারের পরিবার কোন সহযোগিতা করেনি।

পরে নিরুপায় করে থানায় বিষযটি জানায়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এখানে মেয়েটি কোথায় আছে কেমন আছে পরিবারটি সন্ধান পায়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
মেয়েটির নানী জানান, গত কযেক মাস ধরেই বকাটে আনোয়ার কয়েকজনকে নিযে আমার নাতীর মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে খারাপ কু- প্রস্তাব দিত।

এই বিষযটি আমাকে জানালে আমি তার পরিবারকে জানাই। তারা শক্তিশালী থাকায় উল্টো আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়। গতকাল রাতে আমার নাতি বাথরুমে গেলে আনোযার আমার নাতিকে বাথরুম থেকে বের হওযার সময় নিয়ে গেছে। আমার মেযেটি চট্রগ্রামে থাকে আমি কি জবাব দেব? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে মেয়েটির গ্রামের বাড়িতে ও ছেলের বাড়িতে গেলে ঘটনার সত্যাতা পাওয়া যায়।

মদন থানার ওসি নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।