নোবিপ্রবিতে আন্দোলনের খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিককে হেনস্তা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাবারে ভর্তুকি প্রদান, নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা, ক্লাসরুম সংকট নিরসনসহ মোট ১১ দফা আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় এক সাংবাদিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মীর দ্বারা হামলার শিকার হন।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব্পালন করতে গেলে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা ওই সাংবাদিকের উপর চরাও হন। পরবর্তীতে আড়ালে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকের মুঠোফোনে তোলা ছবি ও ভিডিও ডিলিট করার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ওই সাংবাদিককে প্রহার করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র অনুযায়ী, হামলার নেতৃত্ব দানকারী হাবীবুর রহমান রকি ইংরেজি বিভাগ ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিরাজ মাহমুদ দৈনিক নবদেশ ২৪ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।তিনি বলেন, ” আমি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের ভিডিও সংবাদ সংগ্রহ করতেছিলাম। আন্দোলন তখন প্রায় শেষের দিকে। আন্দোলনের মধ্যে প্রশাসনিক ভবনের গেইটে তখন অনেকের মধ্যে হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল। সেই মুহুর্ত আমি ভিডিও ধারণ করছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে একজন আমাকে ডেকে নিয়ে যায় এবং গোলচত্বরে বাসের আড়ালে নিয়ে গিয়ে আমার মাথায় এবং শরীরে জোড়ে থাপ্পর এবং কিল, ঘুষি দিয়ে আমাকে ভিডিও ডিলেট করার জন্য চাপ দিতে থাকে । আমি তাকে সাংবাদিক পরিচয়ও দিয়েছি। তারপরেও সে আমাকে কিল ঘুষি দিচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে এসেই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ সভাপতি মাকসুদুল কাদের সোহান।
তবে সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ কর্মী হাবীবুর রহমান রকি।
সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা কখনোই কাম্য নয়। এমন কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন