নোয়াখালী আ’লীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ : এক শিশুসহ ১০ গুলিবিদ্ধ, আহত ১০
এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফারহাটে যুবলীগ ও আ’লীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এক শিশুসহ ১০ জন গুলি বিদ্ধ ও ১০ আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ১০ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় খলিফার হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথমে শিপন সর্মর্থিত লোকজন জহির মেম্বারের বাড়িতে ও পরে বাজারে অতর্কিতভাবে হামলা ও গুলি চালায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, দলীয় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শিপন ও যুবলীগ নেতা জহির মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। কিছু দিন পুর্বে যুবলীগ নেতা জহির মেম্বার গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনার মামলায় আ’লীগ নেতা শিপন সমর্থিত তিন আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিপন সমর্থিত নেতা কর্মীরা খলিফারহাটে জহির মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালায় । শুরু হয় ২ পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া । পরে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিশু ও স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীসহ ১০ জন গুলি বিদ্ধ ও আহত হয় অন্তত আরো ১০ জন। গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন সোলাইমান(২৮), সুমন(২৩), জসিম(৪৫), অহিদ উল্লা(৩৫), সবুজ (২৩), মাসুদ(৩৫), মনির আহম¥দ (৫৫), সবুজ (২৩), জাকের (৩০), এক শিশু শান্ত (১২)। তাদের কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমেভাব বিরাজ করছে। সুধারাম মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, শিপন ও জহির মেম্বারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে রিরোধ চলে আসছে। আজ বিকেলে দু’গ্রæফের আবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন