নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সাথে ভারতের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে আমরা লড়াই করছি। আমাদের রাজনৈতিক যুদ্ধ চলমান আছে এবং এটা দেশমাতৃকার জন্য।
সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা। এ সময় মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজের রূপপুর প্রকল্পের জন্য পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার আওতায় একটি জাহাজ আছে, বিষয়টি জানা ছিল না। এখন যেহেতু নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানা হয়েছে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি মেগা প্রকল্প। সেটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, শীঘ্রই ভারতের একটি ক্রুজ বাংলাদেশে আসছে। এ বিষয়ে কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ কয়েকটি ব্যাপারে কিছুটা চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ ও ক্রুজ আগমন উপলক্ষ্যে ভারতের একটি টিম চাঁদপুর, বাগেরহাট ও মোংলা পরিদর্শন করবে। তিনি জানান, কোভিডের পর স্থলবন্দরগুলো সম্পূর্ণভাবে চালু হয়নি। অনেক জায়গায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভিসা ইস্যু করছে না ফলে সমস্যা হচ্ছে। সাক্ষাৎকালে সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে। তাঁরা এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে বিজিবি বিএসএফ এর মধ্যে কিছু সমস্যা হয়। আলোচনার মাধ্যমে সমাস্যাগুলো সমাধান করা হয়। বিচ্ছিন্ন ঘটনা যাতে আর না হয় সেজন্য দু’দেশের সরকার কাজ করছে। অনেকগুলো স্থলবন্দর অপারেশনের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরও রয়েছে, সেটি জানুয়ারিতে চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী এপ্রিল বা মে’তে পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল চালু করা হবে। আন্ধারমানিক নদীতে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ফেরি চলবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন