নড়াইলে মামলার এক ঘন্টার মধ্যে অপহৃতা উদ্ধার, আটক-৪

নড়াইলে মামলা দায়েরের ১ ঘন্টার মধ্যে অপহৃতা শিক্ষার্থীকে উদ্ধারসহ ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শিমুল কুমার দাস।

৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে ছাত্রীর মা নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।

মামলা সূত্র জানায়- বাদীর নাবালিকা মেয়ে (১৪), আউড়িয়া সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাত ৮টার দিকে বাদীর মেয়ে বাড়ী হতে একই এলাকায় বাদীর ভাই হাসিব মোড়লের বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্তু রাত ১০টার দিকেও মেয়ে বাড়ী ফিরে না আসলে বাদী তার ভাই হাসিব মোড়লের বাড়ীতে খবর নিতে যান। খোজ নিয়ে দেখে মেয়ে মামা বাড়ী যায়নি। তখন আত্মীয় এবং পাড়া প্রতিবেশি কোথাও খুঁজে পাননি। ৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টার দিকে বাদীর মোবাইলে ফোন আসে। বাদী ফোন রিসিভ করতেই বাদী তার মেয়ের কন্ঠ শুনতে পায়। সে বলে মা আমাকে কয়েকজন ছেলে মুখে রুমাল বেধে তুলে নিয়ে এসেছে। কোথায় আটকে রেখেছে এতটুকু কথা বলতে ফোন কেটে যায়। পুনরায় উক্ত নাম্বারে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে লোক মুখে জানিতে পারেন যে, মেয়েকে ৩/৪ জন ব্যক্তি নড়াইল সদর থানাধীন বৌ-বাজার পাগলের বটতলা নামক স্থান হতে ৫ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ইজিবাইকে করে তুলারামপুর দিকে নিয়ে যায়। অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারী বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি অফিসার ইনচাজ নড়াইল থানাকে নিয়মিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্তে নড়াইল সদর থানার মামলা নং-০৬/৩৮ তারিখ-০৯/০২/২২খ্রিঃ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৩০ রুজু হলে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শিমুল কুমার দাস পুলিশ সুপার নির্দেশে দ্রুত ভিকটিম উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতারের জন্য সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল টিমকে নির্দেশ প্রদান করেন। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল নড়াইলে কর্মরত এএসআই কামাল হোসেন মামলার ভিকটিম উদ্ধারের জন্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ভিকটিম উদ্ধারসহ ৪জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক মাহমুদুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।