পঁয়তাল্লিশের পর সুস্থ থাকতে নারীর খাবার
বয়সের সাথে সাথে মানুষের শরীরেও পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ও সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজন সতর্কতার। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের নারীদের ক্ষেত্রে তার আরও বেশি প্রয়োজন হয়। কারণ এ সময়ে নারীদের জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে।
যেমন মেনোপজ হয়ে যায়, ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা নেমে যায়। ইস্ট্রোজেন হরমোন এত দিন নারীর হৃদরোগকে প্রতিরোধ করে আসছিল সেই প্রভাবটা আর থাকে না।
নারীরা মুটিয়ে যেতে থাকেন, রক্তে চর্বি বাড়ে, বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। আর শুরু হয় অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়। তার ওপর নতুন উপদ্রব হট ফ্লাশ। হঠাৎ গরম লেগে ওঠা, ঘাম হওয়া, বুক ধড়ফড়, অনিদ্রা। তাই এই সময়টাতে জীবনাচরণ পদ্ধতিতে হতে হবে সচেতন।
খাদ্যাভ্যাসের বেশ কিছু পরিবর্তন আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে।
মেনোপজের আগে থেকেই হাড় ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। এ সময় দৈনিক প্রায় ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৮০০ ইউনিট ভিটামিন ডির চাহিদা থাকে। তাই প্রতিদিন দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, পনির, সয়াবিন, কাঁচা বাদাম, আখরোট, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার বিষন্নতা, অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করে। বাদাম, ডুমুর, গাঢ় সবুজ সবজি, কলা ও নারকেলে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।
সেলেনিয়াম হট ফ্লাশ কমায়। কলিজা, টুনা মাছ, টমেটো, পেঁয়াজ, ব্রকলি, রসুন ইত্যাদিতে আছে এই সেলেনিয়াম। এই বয়সে অতিরিক্ত চুল পড়া ও ত্বকের লাবণ্যহীনতা কমাতে ভিটামিন ই-যুক্ত খাবার, যেমন: সয়াবিন, উদ্ভিজ্জ তেল, বাদাম, অঙ্কুরিত সবজি, ডিম ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন