পঞ্চগড়ে ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনসহ ১৫জনের নাম উল্লেখ করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের ভারাটে লোকদের সঙ্গে সাধারণ জনতা সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হন। এসময় নবনির্মিত বিএনপি অফিস সহ স্থানীয় কয়েকটি বাজারের দোকান ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় তেঁতুলিয়া মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরোও ৩৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় সিপাইপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক (৪৫) বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর আসামীরা হলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলার হাওয়াজোত গ্রামের আয়ুব আলী (৫৫), একই গ্রামের হাসা (২৭), হিমু (৪০), মাসুম (২৮), দগরবাড়ী গ্রামের জিয়ারুল (৩৫), ফুটকিবাড়ি গ্রামের রুস্তম (৩৩), দগরবাড়ী গ্রামের আহসান হাবীব (৩৫), দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের আঃ রহমান (৩০), দরগাসিং গ্রামের আনিছুর রহমান (৩০), হাকিমপুর গ্রামের পাভেল হোসেন (১৯), হাওয়াজোত গ্রামের শুক্রু (৫০), আকাশ (২৩), তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও হৃদয় (২৯) সহ অজ্ঞাত ৩৫০ জন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, সোমবার সংর্ঘষের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ স্থানীয়দের সহায়তায় ৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। মঙ্গলবার ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হলে ওই ৭ জনকে আটক করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামী বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদর-ই-খুদা মিলন সাংবাদিকদের বলেন, গত সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আমি এলাকায় ছিলাম না। এদিকে আমার অনুপস্থিতিতে একটি পরিকল্পিত ঘটনা ও পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। যা গত ৫ আগষ্ট থেকে করে আসছে।

তবে গত সোমবার বিক্ষুব্ধ মানুষজন সুযোগ বুঝে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ সহ লুটপাত চালিয়ে উল্টো আমার নামে মামলা দায়ের করেছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণসহ সহযোগীতা কামনা করছি। আপনারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন। আমাদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় পারিবারিক ভাবে আলোচনা শেষে মামলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে সোমাবর (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় বিএনপি সমর্থক হোটেল ব্যবসায়ী ওবাইদুল হকের দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের সমর্থকরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১৪ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে থানা পুলিশ ও বিজিবি।