পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মরিচ খেতের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জুফের আলীর ৬০ শতাংশ জমিতে লাগানো মরিচ খেতের মরিচগাছ রাতের আঁধারে উপড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তার অন্তত ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের নাওয়া পাড়া গ্রামের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কৃষক বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের নাওয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে জুফের আলী।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে মরিচ খেতের গাছ কাটা ও উপড়ে ফেলার এমন অমানবিক কর্মকান্ডের দৃশ্য চোখে পড়ে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জুফের আলী সোমবার বিকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুফের আলী একজন সহজ সরল কৃষক ও শ্রমিক। তিনি নাওয়া পাড়া গ্রামে ৬০ শতাংশ জমিতে মরিচ খেত লাগিয়েছেন। ইতোমধ্যে মরিচ খেতের গাছগুলোতে প্রচুর মরিচ ধরতে শুরু করেছে এবং কিছু গাছে পূর্ণাঙ্গ মচির ঝুলছে। রোববার রাতে দুর্বৃত্তরা তার প্রায় পৌণে এক একর জমির মরিচের গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলেছে।

জুফের আলী বলেন, তিনি ৬০ শতাংশ জমিতে মরিচ লাগিয়েছে। মরিচের গাছগুলোতে কেবল ঝাঁক ধরে মরিচ আসা শুরু করছে। এমন সময় দুর্বৃত্তরা এই কান্ড ঘঠিয়েছেন। এতে বর্তমান বাজার অনুযায়ী ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি হতো। এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে ক্ষতিপূরণসহ কঠিন শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসি।

তিনি আরও বলেন, অনেক কষ্টে লোন করে এই মরিচ চাষ করি। আমার সমস্ত মরিচ গাছ দুর্বৃত্তরা উপড়ে ফেলেছেন আমি তাদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। আমার এই ৬০ শতাংশ জমিতে ব্যয় হয় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। কঠিন এই দাবদাহের মধ্যে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মরিচের খেতের পরিচর্যা করেন তিনি। এসব মৌসুমের আবাদে চলে তার সংসার। তিনি বলেন, আমি এখন কী করে খাবো, কীভাবে সংসার চালাবো?

তিনি জানান, সোমবার বিকালে মরিচ খেত পরিচর্যার জন্য গিয়ে দেখেন সমস্ত মরিচ গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌসকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে কলটি রিসিভ না হওয়ায় কথা বলার সুযোগ হয়নি।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এনায়েত কবিরকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি থানায় না থাকায় উিউটি অফিসার এসআই আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, জুফের আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটির ইনডেক্স নম্বর পড়লেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন।