পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ!
পঞ্চগড়ের এক হাফেজি মাদ্রাসায় নাজমুল হক (১০) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় শনিবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছে শিশুটির বাবা জামাল উদ্দীন।
ঘটনাটি সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের মডেল বাজার ফোরকানিয়া নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হাফেজ মোঃ রিপন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশু নাজমুল হককে গত তিন মাস আগে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন বাবা জামাল উদ্দীন। মাদ্রাসাতেই থাকতো নাজমুল। স¤প্রতি মাদ্রাসার এক সহপাঠীর সাথে নাজমুলের মারামারি হয়। বিষয়টি দেখার জন্য এবং আর মারামারি যেন না করে সেটা দেখভালের জন্য নাজমুলের বাবা জামাল উদ্দীন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. রিপনকে অবহিত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয় শিক্ষক রিপন। পরে গত ১৪ মার্চ রাতে নাজমুলকে শ্রেণীকক্ষে আটক করে বাঁশের বেত দিয়ে বেধরক মারপিট করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতিও দেখায়।
এদিকে, গত শুক্রবার শিশুটির বাবা-মা শিশুটিকে মাদ্রাসায় দেখতে গেলে শিশু ছাত্র নাজমুল আর মাদ্রাসায় থাকবে না বলে কান্নাকাটি করে। বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে নাজমুল আঘাতের চিহ্নগুলো বাবা-মাকে দেখায়। পরে নাজমুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শনিবার সন্ধায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী।
নাজমুলের বাবা জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমার ছেলেকে শিক্ষক হাফেজ মো. রিপন কোন কারণ ছাড়ায় বেধরক মারধর করে মাদ্রাসায় ছয় দিন ধরে আটকে রাখে। আহত হলেও তাকে চিকিৎসা দেয়নি। পরে ছেলে কোন মত আমার সাথে দেখা করে সব বললে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার ছেলেকে এমন ভাবে বেধরক মারধরের বিচার চাই।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাস আহমদ বলেন, শিশুটির বাবা থানায় একটি এজাহার যুক্তকরে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত আসামীকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন