পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অভিযোগ উঠেছে মাহবুব আলম আবু (৩২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী তরুণী প্রায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শরীর পরিবর্তনের বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে তার পরিবার তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

 
রবিবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে মাহবুব আলম আবুকে অভিযুক্ত করে ভিকটিম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মাহবুব আলম আবু তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের ভেলকুগজ মুহুরিহাট এলাকার মোঃ জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের ভেলকুগজ মুহুরিহাট একালার মোঃ জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ আসছিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই তরুণী। এর মাঝে মাহবুব আলম আবু দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্র্পক স্থাপন তৈরি করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে একাধীকবার ধর্ষণ করে।

এদিকে তরুণী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাকে ভয়ভীতি দেখান ধর্ষক আবু। গত শুক্রবার ওই তরুণী হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পরলে তার বাড়ির লোকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে অন্তসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হয় তার পরিবার।

পরবর্তিত্বে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি আবু পরিবারকে জানালে তরুণীকে গ্রহণ না করে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায় অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি আবুর পরিবার জানতে পারলে বাচ্চা নষ্ট করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং ওই প্রতিবন্ধী তরুণীকে ঘরবন্দি করে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তিত্বে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়। এদিকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় শারিরীক ভাবে কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় শনিবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

তরুণীর পরিবার অভিযোগে বলেন, ঘঁনাটি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা তাদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলি। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ও প্রতিবন্ধী হওয়ায় তারা আমাদের মেয়েকে গ্রহণ করতে চায় না। ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় এলাকা বাসীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক মাহবুব আলম আবু সহ তার বাবা জয়নালের সাথে এশাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া উপজেলা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সায়েম মিয়া তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বলেন প্রতিবন্ধী তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ঘটনাটি ঘটানো এবং একই সাথে ঘরবন্ধি করে হয়েছে সেহেতু কোন ভাবেই অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।