পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একই সাথে দুই স্বামীর ঘর করছিলেন নূপুর

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রক্ত ছিটিয়ে গুমের নাটক করে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার ৪ দিন পর বরিশালের বাকেরগঞ্জ থেকে নূপুর ও হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাত সারে ১২ টায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর এলাকায় প্রেমীক হাসানের বাড়ি থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় তাদের আটক করা হয়।
এর আগে ২ মার্চ রাতে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউপির পশ্চিম চাকামইয়া গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে নুপুরের রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। এছাড়া নূপুরের বাবার দায়ের করা মামলায় স্বামী বাড়ির ৭ জনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
তবে এ জুটি আটকের পর রহস্যের জট খুলে যাওয়ায় অবাক বনে গিয়েছে পুলিশ সহ স্থানীয়রা। যা সিনেমার গল্প কাহিনিকেও হার মানায়। পুলিশ জানায়, আটক নুপুরের ছোট বোন শাহাজাদীকে ৮ মাস আগে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন হাসান।
সেখানে পাত্র পছন্দ না হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয় নপুর। পরে সেখান থেকেই শুরু হয় পরকিয়া প্রেমের কাহিনি। শুরুতে ফোনে কথা বললেও পরে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জে গিয়ে বিয়ে করেন দুজন। আর একই সাথে দুই স্বামীর সঙ্গেই যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি।
তবে সম্প্রতি দুজন কাছাকাছি থাকতে অভিনব পরিকল্পনা করেন। ফলে প্রেমীক হাসানের শরীর থেকে সিরিজের মাধ্যমে রক্ত নিয়ে স্বামী আলমগীরের বাড়ির বিভিন্ন স্থানে ছিটিয়ে দেয়। যাতে সহজেই পুলিশ সহ স্থানীয়দের চোখে ধুলো দিতে পারেন তারা। তবে পটুয়াখালী ডিবি পুলিশ ও কলাপাড়া থানা পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় তথ্য প্রযুক্তির জালে ধরা পরেন দুজন।
পুলিশ আরো জানায়, অবিবাহিত প্রেমীককে আপন করে পেতে বর্তমানে নিজের তিন সন্তানকেও অস্বীকার করছেন নূপুর। এদিকে ভংয়ঙ্কর পরিকল্পনাকারী হাসান নুপুরের কঠোর বিচারের দাবীতে কলাপাড়া থানার সামনে ভিড় জমায় শত শত বিক্ষুদ্ধ মানুষ।
কলাপাড়া থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন