পটুয়াখালীর খালে ভেসে আসা টর্পেডোটি প্র্যাকটিসে ব্যবহৃত ডামি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মীরকান্দা গ্রামের ভাঙা খালে ভেসে আসা টর্পেডোটি একটি ‘ডামি টর্পেডো’ বলে জানা গেছে। সাবমেরিনের প্রশিক্ষণ বা প্র্যাকটিস ড্রিল চলাকালীন সময়ে এধরনের ডামি টর্পেডো ব্যবহৃত হয়। এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বা এটি বিস্ফোরক নয় বলে জানিয়েছে নৌবাহিনীর পায়রা বন্দরসংলগ্ন বানৌজা শেরেবাংলা নৌঘাঁটির একটি দল।
বানৌজা শেরেবাংলা নৌঘাঁটির সাব-লেফটেন্যান্ট আবদুল আলিমের বরাত দিয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে টর্পেডোটি শেরেবাংলা নৌঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামসংলগ্ন ভাঙা খালে টর্পেডো ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৌডুবির মীরকান্দা খালের ভেতর চলে আসে। ওই খালের সঙ্গে সমুদ্রেরও সংযোগ রয়েছে। টর্পেডো দেখতে অনেকটা মিসাইলের মতো হওয়ায় এটিকে ক্ষেপণাস্ত্র বলেই ধারণা করেন স্থানীয়রা। কৌতূহলী হয়ে অনেকে ভিড় জমালেও এটিকে বিস্ফোরক ভেবে তারা দূরত্ব বজায় রাখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সেখানে যান। রাঙ্গাবালী থানার ওসি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। এরপর নৌবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আসেন। দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ভাসমান টর্পেডোর ভিডিও।
সমুদ্রে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন বা ভাসমান যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করতে টর্পেডো ব্যবহার করা হয়। কোনো সাবমেরিন যখন টর্পেডো নিক্ষেপ করে, তখন তা লক্ষ্যবস্তুর সংস্পর্শে গেলে বিস্ফোরিত হয়।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, খালে ভেসে আসা টর্পেডোটি একটি ডামি টর্পেডো। তবে এটি কোন দেশের, বা কীভাবে ভেসে এলো, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। রাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং পুলিশের যৌথ পাহারায় থাকবে বস্তুটি। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন