পটুয়াখালীর মহিপুরে তক্ষক ও পিলার ব্যবসায়ীর ষড়যন্ত্রে কোনঠাসা আওয়ামীলীগ নেতারা
পটুয়াখালীর মহিপুরে জামায়াত নেতা আবু হানিফের মিথ্যা মামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে মহিপুর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
ধর্ষণ মামলার আসামি ও পিলার এবং তক্ষক ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি পাওনা টাকা না দেয়ার ফন্দি হিসেবে তাদের গ্রামছাড়া করতে এসব মামলা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের শুক্রবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে এমন সব অভিযোগ তুলে ধরেন মহিপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মালেক আকন্দ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জামায়াত নেতা আবু হানিফ, ইউনুস সিকদার ও ইউনুস হাওলাদার দীর্ঘদিন একসাথে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করতেন। তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে মাননীয় ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট একটি অভিযোগ আসে। তিনি স্থানীয় মহিপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে বিষয়টি সমাধানের জন্য আবু হানিফসহ সকলকে ডাকলে আবু হানিফ কিছুদিনের সময় চেয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ করে মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো বলেন, কারিতাস ভবনের পাশে যে বিল্ডিং নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার মালিক আবু হানিফ নয়। এ ভবনের যিনি মালিক ইব্রাহীম তার কোন অভিযোগ নেই। রাইচ মিল ও তেলের মিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এটাও সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইউনুস সিকদারের কোন অভিযোগ নেই। অথচ এসব মিথ্যা মনগড়া তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে।
এই সভাপতি বলেন, আবু হানিফ ছাত্র জীবনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের সদস্য থেকে পরবর্তীতে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। সরকার বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকে একের পর এক মিথ্যা ভিত্তিহীন নাটকীয় কাহিনীর অবতারনা করে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে আসছে। ইতিপূর্বে তিনি একটি ধর্ষন মামলায় এক মাস জেলহাজত বাস করেন। তার রয়েছে একাধিক অবৈধ ব্যবসা।
মহিপুর বাজারে তার আবাসিক হোটেল থেকেই এসব ব্যবসা পরিচালনা করা হয়।
আবু হানিফ নিজের অপকর্ম ঢাকতে আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। সংবাদ মম্মেলনে এর প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াত নেতা আবু হানিফের শাস্তি দাবি করেন উপস্থিত মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন