পথশিশু সমস্যার সমাধান কোন পথে?
ক্ষুধার জ্বালায় মায়ের কোল ছেড়ে শিশুরা যখন মা-বাবার ঘর ছেড়ে অজানার পথে পা বাড়ায় তখনই তাদের পরিচয় হয় পথশিশু। রাষ্ট্রযন্ত্রও এদের সম্বন্ধে অসচেতন। ফুটপাত, পার্ক, ট্রেন ও বাসস্টেশন, লঞ্চঘাট, সরকারি ভবনের নিচে বসবাসকারী এসব পথশিশুকে দেখার কেউ নেই।
আজ রোববার (২ অক্টোবর) জাতীয় পথশিশু দিবস। দেশের পথশিশুদের সুরক্ষা ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিবছর আমাদের দেশে পালিত হয় এই দিবস।
উদ্বেগের বিষয়, দেশে পথশিশুর সংখ্যা কতো- এর কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে বেসরকারি এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে ২৫ লাখ। এরমধ্যে আড়াই থেকে তিন লাখেরও বেশি পথশিশুর অস্থায়ী আবাস রাজধানী ঢাকার পিচঢালা পথে। এসব পথশিশু সমাজ-সংস্কৃতির কোন সুবিধা পাচ্ছে না। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। সমাজের দুষ্টচক্রের সাথে নিয়তই তাদের ওঠাবসা। ছেলে শিশুদের ব্যবহার করা হয় মাদক পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। মেয়ে পথশিশুদের অধিকাংশই অল্প বয়সে পতিতাবৃত্তির মতো ঘৃণ্য পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে বাধ্য হচ্ছে।
এক দুপুরে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার ফুলবিক্রেতা চার বছর বয়সী ইমনের সঙ্গে। ইমনের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা নেই। বাবা গত হয়েছেন অনেক আগে, মায়েরও নতুন সংসার হয়েছে।
“আমার কোনো বাসা নাই। আগে মিরপুরের দিকে একটা বস্তিতে দাদা-দাদির লগে থাকতাম । হেরাও বেশিদিন রাখতে পারল না। এরপরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। অহন এই পার্কের ভিতরে থাকি।”
১৪ বছর বয়সী আফরিন (ছদ্মনাম) দাদির সঙ্গে থাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায়।
তার দাদি বলেন, ‘তার যখন ১০ বছর বয়স, তখন তার বাপে মায়ে আলাদা হইয়া যায়। হের এক বছর বাদে তার দাদাও মারা গেল। তারে নিয়ে আমি ঘুরতে ঘুরতে এখন এই শহীদ মিনারে থাকি। মাইয়াটারে ভালো রাখতে পারলাম না।’
পথে থাকতে থাকতে একদিন পথশিশু আফরিনের পরিচয় হয়ে যায় ভাসমান যৌনকর্মী হিসেবে। পরে সে মাদকাসক্তও হয়ে পড়ে।
১৩ বছর বয়সী রাসেল থাকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। আগে স্কুলে গেলেও করোনাভাইরাস মহামারীতে পারিবারের আর্থিক টানাপড়েনের কারণে তার স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। রাসেলের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুরে। চার মাস ধরে সে পথেই আছে।
রাসেল বলে, “করোনা শুরু হওয়ার পর আব্বার চাকরি যায়। আব্বা গ্রামে যায়। এখন মানুষের জমিতে কামলা দেয়। আমাদের সংসার চলে না। আমার ছোট দুইটা বইন আছে। তারা ঠিকমত খাওন পায় না।
“একদিন এক বড় ভাই কইল, চল ঢাকায় যাই। ট্রেনে কইরা পরে ঢাকায় আসি। সে কইছিল একটা কাজ দিব। কিন্তু কদিন ঘুরায়া টুরায়া কাজ দিল না। গ্যারেজে কামে নিসিল। এখন সেটাও ডাকে না। এখন আমার একটা কাজ লাগব। কাজ না পাইয়া আমি বাড়ি যাব না।”
‘যৌনকর্মী হতে বাধ্য হচ্ছে পথ শিশুরা’
পল্টন মোড়ে আরেক শিশুর সঙ্গে কথা হলে জানায়, ‘কাজ না করলে কেও টাকা দিবে না। মন না চাইলেও এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি বা তাদের সাথে গিয়েছি।’
সে বলে, ‘যখন ঐ জিনিসটা হয়ে যেত আমি বুঝতেও পারতাম না আমার সাথে কি হয়ে গেল। তারপরে আমি বুঝতে পারতাম আমার সাথে আসলে কি হয়েছে, তখন আমার খুব খারাপ লাগে।’
‘একটা লোক আমার চারপাশে ঘোরাফেরা করছে আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু আমি যে আরেকজনের কাছে আশ্রয় নেব সেই আশ্রয় দেয়ার কেউ নেই।’
কিভাবে অনেক সময় এমন কাজে বাধ্য হতে হয় সে বিষয়ে বলছিল, ‘এটা এমন একটা ব্যাপার যেটা কাওকে বলা যায় না, তাই অনেক সময় জোরপূর্বক রাজি হয়ে যায় বা আমার করার কিছু থাকে না।’
‘চুরি-ছিনতাই, মাদক বিক্রি’
ছেলে শিশুদের দিয়ে চুরি, ছিনতাই এবং মাদক বিক্রির মত কাজ করানো হচ্ছে। একটা শিশু বলছিল তাকে দিয়ে চুরি করানোর কাজ করা হয়।
এসব বিক্রির আগে ইয়াবাসহ অন্যান্য নেশা দ্রব্য খাইয়ে দেয় তার ভাষায় তার ‘বড় ভাইয়েরা’।
সে বলে, ‘আমারে দিয়ে চুরি করায়। বলে ঐখান থেকে মোবাইল চুরি করবি, ওখান থেকে পকেট-মারবি, ঐ বাসার স্যান্ডেল চুরি করবি এইসব।’
প্রশ্ন: কখনো ধরা পড়েছো?
উত্তর: পড়ছি ,অনেক মাইর খাইছি কিন্তু আলাপ (টের) পাইনি
প্রশ্ন: কেন?
উত্তর:আমারে যেসব খাওয়াইয়া দেই এরপর মাইর দিলে আলাপ পাই না। আমি দেখা গেছে দুই/তিন দিন এরপর ঘুমিয়ে থাকি।
আরেকজন শিশু বলছিল কিভাবে তাকে দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করানো হয়।
শিশুটি বলছি, ‘আমারে বাবা (ইয়াবা), গাঁজা আরো সব খারাপ জিনিস খাওয়াইয়া দেয়। আমার পকেটে ৫/৬টা ইয়াবা দিয়ে বলে এগুলো বিক্রি করবি তাহলে কিছু টাকা পাবি। ২০০ টাকা করে বিক্রি করি প্রতি পিস। ৫টা বিক্রি করলে ১০০০ টাকা হয়। আমারে দুই/তিনশ টাকা দেয়। বাকিটা তারা নিয়ে নেয়।’
সরকারি-বেসরকারি প্রকল্প
বাংলাদেশে পথ-শিশুদের দেখা-শোনা করার জন্য সরকারি-বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
কয়েক স্থানে তৈরি করা হয়েছে পথ-শিশুদের জন্য হোম বা আশ্রয়কেন্দ্র। ঢাকার কারওয়ানবাজারে এবং কমলাপুরে দুটি সরকারি হোম রয়েছে শিশুদের জন্য। যেখানে তাদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
কারওয়ানবাজারে পথ-শিশুদের জন্যে একটি হোমে গিয়ে এই প্রতিবেদক দেখতে পান সেখানে ছোট একটা স্থানে গাদাগাদি করে প্রায় একশোর মত শিশু রয়েছে।
দুপুরের সময়- খাবার দেয়া হবে তাদের। তাই তাদের সংখ্যাটাও একটু বেশি। এসব শিশুরা রাতে ঘুমাতে আসে, আর খাওয়ার সময় আসে। বাকি সময়টা তারা বাইরে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে।
কামরুননাহার রত্না এই সেন্টারের চাইল্ড প্রটেকশন কলসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
এই হোম শিশুদের কতটা নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছিলেন, শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে এনজিও, সরকার-এসব তথ্য অপরাধ চক্রগুলো জানে। তারা খুব স্ট্রংলি তাদের মোটিভেট করে যে শেল্টারে গেলে রগ কেটে দেয়, রক্ত নেয় এমন অদ্ভুত সব কথা।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “শিশুরা যদি শেল্টারে আসে তাহলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা অনেক শিশুর কাছে এমনটা শুনেছি। যারা এসব কথা বলে এবং আসতে চায় না।”
“শিশুদের বাইরে বের করে নেয়ার বহু চেষ্টা তারা করে আর নানা ধরণের অবৈধ কাজে যুক্ত করায় আর এই হোম গুলো উন্মুক্ত।” সেখানে কাউকে সারাক্ষণ থাকতে বাধ্য করা হয় না বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশের সরকারের মহিলা এবং শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর রয়েছে পথ-শিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম ।
সেখানে রয়েছে পথ-শিশুদের জন্য দুটি সেন্টার। যা শুধুমাত্র ঢাকায়। কিন্তু সারাদেশে আরো কয়েক লাখ যে পথ-শিশু রয়েছে তাদের জন্য কি ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। আমি কথা বলেছিলাম এই কার্যক্রমের পরিচালক ড.আবুল হোসেনের সাথে।
ড.আবুল হোসেন বলছিলেন, ‘৫ বছর মেয়াদি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সারাদেশে ১৯টি শেল্টার হোম তৈরি করা হবে। তবে তারা যে অপরাধে জরিয়ে যাচ্ছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের কাজ তাদের মোটিভেট করা। আমরা সেটা করছি। আমাদের মোবাইল টিম আছে যারা বিভিন্ন স্থানে যেয়ে শিশুদের মধ্যে সেই কাজটি করছি।’
বাংলাদেশ পুলিশের মুখপাত্র সহেলী ফেরদৌসে বলছিলেন, ‘পথ-শিশুদের ব্যাপারে আমরা অত্যান্ত সচেতন। তাদেরকে কারা অপরাধে জরাচ্ছে এটার জন্য আমরা নিজস্ব সোর্স ব্যবহার করছি।’
বাংলাদেশে লাখ লাখ পথ শিশুদের নিরাপদ থাকার স্থানের যেমন অভাব রয়েছে তেমনি রয়েছে অপরাধে জড়িয়ে পরার সম্ভাবনা।
যদিও পুলিশ বলছে তারা নিজেদের সোর্স ব্যবহার করছে অপরাধী চক্রকে ধরার ব্যাপারে। কিন্তু শিশুরা যে প্রতিনিয়ত বাধ্য হয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে সেটার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার দায় কারো মধ্যে দেখা যায়নি।
গবেষণা কী বলছে?
বাংলাদেশে পথ শিশুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে মতদ্বৈততা রয়েছে। ২০০৪ সালে বিআইডিএসের জরিপের বিষয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পথশিশু বিষয়ক সেলের প্রধান আবুল হোসেন বলেন, “এই স্টাডি অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে এবং নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই পথশিশুদের প্রকৃত সংখ্যা বর্তমানে কত, এটা না জানলে তাদের জন্য বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি করা দুরূহ হবে।”
মন্ত্রণালয়ও পথশিশুদের সংখ্যা নিরূপনে দ্রুত কাজ শুরু করবে বলে জানান আবুল হোসেন।
২০০৫ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশের শতকরা ৪১ ভাগ পথশিশুর ঘুমানোর বিছানা নেই; ৪০ শতাংশ প্রতিদিন গোসল করতে পারে না; ৩৫ শতাংশ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে, ৮৪ শতাংশ শিশুর শীতবস্ত্র নেই; ৫৪ শতাংশ শিশুর অসুস্থতায় দেখার কেউ নেই; ৭৫ শতাংশ পথশিশু অসুস্থতায় ডাক্তার দেখাতে পারে না।
শিশুদের মাদকাসক্তির চিত্রও ভয়াবহ। শিশু অধিকার ফোরামের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৮৫ ভাগ পথশিশু মাদকাসক্ত।
তাদের ১৯ শতাংশ হেরোইন, ৪৪ শতাংশ শিশু ধূমপান, ২৮ শতাংশ নানা ট্যাবলেট, ৮ শতাংশ শিশু ইনজেকশনে আসক্ত।
৮০ শতাংশ শিশু কাজ করে জীবন টিকিয়ে রাখতে; ২০ শতাংশ শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়, ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ পথশিশু সার্বিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
বাংলাদেশ পথশিশুদের নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক স্ট্রিট চিলড্রেন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক-স্ক্যান মহামারীর মধ্যে গত মার্চে রাজধানীর মহাখালী, এয়ারপোর্ট, কমলাপুর, গাবতলী, সদরঘাটসহ আটটি এলাকায় পথশিশুদের জীবনমান নিয়ে একটি জরিপ চালায়। গত ২৬-৩১ মার্চ পর্যন্ত এ জরিপ চলে।
জরিপে পাওয়া তথ্যের প্রসঙ্গে স্ক্যানের সভাপতি জাহাঙ্গীর নাকির বলেন, “জরিপে আমরা পথশিশুদের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে ভয়াল এক অবস্থা দেখতে পাই। ওরা কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস কী সেটা জানেই না।
“সবাই একসাথেই থাকে, স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। ওরা সারাদিন ঘুরে বেড়ায় এখানে সেখানে। ওরা তো করোনাভাইরাসের ক্যারিয়ার হতে পারে।”
স্ক্যানের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, মহামারীতে কর্মসংস্থান হারনো পথশিশুরা অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের দৌড় প্রাথমিক পর্যন্ত
পথশিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ১৯৮৮ সালে গঠিত পথকলি ট্রাস্টই এখন শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট।
ট্রাস্টের প্রথম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাগ্যাহত, সুবিধাবঞ্চিত, হতদরিদ্র এবং নিজ প্রচেষ্টায় ও শ্রমে ভাগ্যোন্নয়নে প্রয়াসী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
তবে এ ট্রাস্টের অধীনে ঢাকা মহানগরীসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় পর্যায়ে মোট ২০৫টি শিশু কল্যাণ বিদ্যালয় রয়েছে, যার সবই প্রাথমিক পর্যায় পর্যন্ত।
ট্রাস্টের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এসব বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
ঢাকার কাপ্তানবাজার, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রাজৈর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, ঝালকাঠি ও যশোর উপশহরে সর্বমোট নয়টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।
পথশিশুদের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পাঠদানের বিষয়ে নানা মহল থেকে আবেদন এলেও এ নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো ‘ভাবনা নেই’ বলে জানিয়েছেন শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক হাবিবুর রহমান।
“এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কোনো কথা হয়নি। এমন কোনো ভাবনাও নেই ট্রাস্টের।”
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদান মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরলে তিনি নিরুত্তর থাকেন।
তবে ট্রাস্টের ভাবনায় এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নানা অবকাঠামো নির্মাণ ও শিশুদের বৃত্তির টাকা বৃদ্ধি।
হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা একটা ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেই মত কিছু অর্থ বৃদ্ধি পেলে শিশুদের জন্য বৃত্তির টাকা বাড়বে, স্কুলও বাড়বে।”
ট্রাস্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তাদের ২০৫টি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৮১টি নিজস্ব ভবনে, ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে, ৩৬টি ভাড়া ভবনে, ১৩টি অন্যান্য স্থাপনায় শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
প্রতিবছর এসব বিদ্যালয়ের ২২০ জন ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। একবার বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা অধ্যয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও বার্ষিক সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি সুবিধা ভোগ করে। তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, বিডিনিউজ, রাইজিং বিডি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন