পথে পথে প্রধানমন্ত্রীকে জনতার শুভেচ্ছা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারকাজ শুরুর উদ্দেশ্যে সড়কপথে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার সময় বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতিও এ সময় সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বুধবার সকালে সড়কপথে গাড়িবহর নিয়ে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। ছোট বোন শেখ রেহানা, ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ যাত্রায় তাঁর সঙ্গে আছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে সকাল ৮টা থেকে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের কুচিয়ামোড়া, নিমতলা, হাসাড়া, ছনবাড়, দোগাছি, মেদেনীমণ্ডল, মাওয়া ও শিমুলিয়া এলাকায় ব্যানার নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনাকে একনজর দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে ভিড় করেন সাধারণ জনগণও।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে সিরাজদীখানের নিমতলা এলাকা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। এ সময় তিনি হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর গাড়িবহর অতিক্রম করে শ্রীনগরের ছনবাড়ী এলাকা। সে সময় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ আওয়ামী লীগ নেত্রী লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছান। সেখানে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের নৌকার প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী শিমুলিয়া ভিআইপি ফেরিঘাটে রাখা ক্যামেলিয়ায় আরোহণ করলে সোয়া দশটার নাগাদ ফেরিটি মাদারীপুরের কাঠাঁলবাড়ি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
মাদারীপুর : দুপুর ১২টার দিকে ফেরি ক্যামেলিয়া কাঁঠালবাড়ির ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটে পৌঁছালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আ. সোবাহান গোলাপ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিয়াজউদ্দিন খান, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ রেজাউল করিম তালকুদার, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মুনির চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বহর ঘাটএলাকা অতিক্রম করার সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক স্লোগানে স্লোগানে তাঁকে শুভেচ্ছা জানায়। ঘাট এলাকা থেকে শিবচরের দত্তপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার জুড়ে চলতে থাকে এই শুভেচ্ছা জ্ঞাপন। প্রধানমন্ত্রীও এ সময় নেতাকর্মীদের অভিবাদনের প্রত্যুত্তর দেন।
আজ থেকেই টুঙ্গিপাড়া সফরের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শুরু করলেন শেখ হাসিনা।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি।
রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে তাঁর নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সঞ্চার হয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার। নির্বাচনী প্রচার ঘিরে মুখর হয়ে উঠেছে কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া উপজেলা। বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে কোটালীপাড়াকে।
এরই মাঝে শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জনসভার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন, পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এ পর্যন্ত ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনেও নৌকার দুর্ভেদ্য এ ঘাঁটি থেকে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ ও টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করবেন বলে প্রত্যাশা ভোটারদের।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন