পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পদ্মা সেতু নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে, তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সক্ষমতার চ্যালেঞ্জের বিজয় পদ্মা সেতু। অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বিস্ময় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন চাইলে আমরাও পারি। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সততা, আত্মবিশ্বাস এবং সাহসিকতার বিজয়গাঁথা। বাংলাদেশের উন্নয়নকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল, পদ্মা সেতু তাদের মুখে চপেটাঘাত। এ সেতু বাংলাদেশের নিজের সৃষ্টি ও সামর্থ্যের স্বাক্ষর বহন করবে অনন্তকাল।
মন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাধা দিয়েছে অথবা অসত্য তথ্য যারা সরবরাহ করেছে তারা অপরাধী। তাদের বিচার করা ছাড়া বিকল্প নেই। অপরাধী কখনো পরিত্রাণ পেতে পারে না।
শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, বাংলাদেশের যেখানে দৃষ্টি দেওয়া হবে, সেখানে শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, আট লেনের রাস্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, দেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোচ্চ রিজার্ভ, করোনা মোকাবিলায় সাফল্যের দিকে থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় সবখানেই শেখ হাসিনাকে খুঁজে পাওয়া যায়।
পদ্মা সেতুর কারণে দেশের সবার উন্নয়ন হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে রাষ্ট্র উপকৃত হবে। অর্থনীতির উন্নয়ন হবে, মানবিকতার উন্নয়ন হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বেদনার্ত অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হবে। এ অঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে সংযুক্ত হবে। তাদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান হবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যে যোগসূত্র তৈরি হলো তা শুধু অর্থনীতিতেই নয় আমাদের রাজনীতিতে, সামাজিকতায় ও আত্মিকতায় মেলবন্ধন সৃষ্টি করবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নাছিম আখতার, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিজামূল হক ভূঁইয়া এ সময় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
তথ্যবিবরণী-পিআইডি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন