পদ্মা সেতুর কাজ ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে : সেতুমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর মূল কাজ অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,সেতুর সামগ্রিক কাজ ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।পদ্মা নদী পৃথিবীর আমাজানের মতো একটি নদী একেবারে অনিশ্চিত একটি নদী।কাজ শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ দিয়েও আমরা সেই নির্ধারিত সময় রাখতে পারি না।
বুধবার দুপুরে সিরাজদিখানের ইছাপুরা মস্তফাগঞ্জ এলাকায় পাকা সেতু উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বিতীয় স্প্যান বসাতে আমাদের আরও একটু সময় লাগবে, যেটা মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত গড়াতে পারে। পদ্মার নিচে এতো বেশি অনিশ্চিত পরিস্থিতি সেখানে গভীরতা মিলিয়ে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে। আমাদের টার্গেট আমরা যথা সময়েই শেষ করব। একটি দুইটি স্প্যান বসার পর এরপর সাতদিন আটদিন পর আরও ৩৯টি স্প্যান বসাতে পারবে। কাজেই যথাসময়ে কাজ শেষ হবার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
এ সময় তিনি আরও জানান,এই দেশে ৭৫ পরবর্তীকালে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিরোধী বিএনপি সব বিভিন্ন সরকার এখানে ক্ষমতায় ছিলেন। এখানে আওয়ামী লীগ প্রথম এমপি পায় ২০০৮ সালে, তার আগে ২১ বছর আমাদের কোনও এমপি এখানে ছিল না। যারা আজকে বড় বড় কথা বলেন, মানুষ কি শুধু রাজনীতির কথা শুনবে, মানুষ কি রাজনৈতিক কারণে আপনাদেরকে ভোট দিবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত ৭৬টি ব্রিজের মধ্যে ৫টি উদ্বোধন করেছি যার কাজ সমাপ্ত। গত মে মাসে আমি ২১টি বেইলী ব্রীজকে পরিপূর্ণ ব্রীজে রুপান্তর করার জন্য নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছিলাম।আজ ৫টি উদ্বোধন হয়েছে এবং জুন মাসের মধ্যে ২১ টি ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ করবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন,৭৬টি ব্রিজের মধ্যে ৪৪টি ব্রিজ আমরা করে ফেলেছি, সামান্য কিছু কাজ চলছে। ২০০৮ থেকে ৪৪টি ব্রিজ আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। এখনও অনেক ব্রিজ কখন যে ভেঙে পড়ে বলা মুশকিল।আর মাত্র ৩২টি বাকি আছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদকালেই অধিকাংশ ব্রিজের কাজ সমাপ্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন,২০২০ সালের জুনের পর আর কোনও বেইলি ব্রিজ থাকবে না। ৫টি ব্রিজ ২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে একজন আগ্রহী প্রার্থীকে নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাকে প্রস্তুতি নিতে সব মহলে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির,সেতু ও সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ী চৌরাস্তার ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্রীনগর সওজ পরিদর্শন বাংলোর ভিত্তি প্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন। এছাড়া ৫টি সেতুর উদ্বোধন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন