পবিত্র শবে বরাতের নামাযের গুরুত্ব ও ফযিলত
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।সাইয়্যিদুল মুরসালীন নুরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরুদ শরীফ ও সালাম। সম্মানিত শবে বরাতে নামাযের ফযীলত সম্পর্কে ‘তাফসীরে রুহুল মায়ানীতে’ উল্লেখ করা হয়েছে যে,-যে ব্যক্তি শবে বরাতের নামায আদায় করবে সে ব্যক্তি ২০টি মকবুল হজ্জের ও বিশ বছরের রোযার ছওয়াব পাবে।’
সুবহানাল্লাহ! ‘নুজহাতুল মাজালিস’ গ্রন্থে আছে, শবে বরাতের ২ রাকায়াত নামায বনী ইসরাইলের এক বুযূর্গ ব্যক্তির পাথরের ভিতরে থেকে চারশত বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।’ সুবহানাল্লাহ!
“নুযহাতুল মাজালিশ” নামক বিখ্যাত কিতাবের ১ম খণ্ডের ১৫৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে।
অর্থ: হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি একটি উঁচু পাহাড়ের চূড়ার উপরে দিয়ে চলছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি সাদা পাথর দেখতে পেলেন। তিনি ওই পাথরের চারপাশে ঘুরে আশ্চর্যান্বিত হলেন। হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আশ্চর্যবোধ দেখে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নিকট ওহী পাঠিয়ে বললেন, হে আমার নবী হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম!
আপনি সাদা পাথরখানা দেখেই অবাক হয়েছেন! এর চেয়ে আশ্চর্যজনক বস্তু আপনি কি দেখতে চান?জবাবে হযরত ইসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি- জি বলতে না বলতেই পাথরটি ফেটে গেলো। উহার মধ্যে সবুজ রঙের লাঠি হাতে নিয়ে একজন বুযুর্গ ব্যক্তি দাঁড়ানো আছেন এবং উনার সামনে একটি আঙ্গুরের গাছ আছে। তখন সেই বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, ইহা আমার প্রতি দিনের খাবার।
এরপর হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ওই বুযুর্গ ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনি কতকাল পর্যন্ত এই সাদা পাথরের ভিতরে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত আছেন? হযরত ইসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এই প্রশ্নের জবাবে বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, সুদীর্ঘ চারশত বৎসর ধরে এই পাথরের ভিতরে আমি ইবাদত-বন্দেগী করছি। তখন হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি (আরো আশ্চর্য হয়ে) বললেন, ইয়া বারে ইলাহী! আমার ধারণা যে, হয়তোবা আপনি এই বুযুর্গ ব্যক্তির চেয়ে আর কোনো উত্তম মাখলুক সৃষ্টি করেননি। হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এই আবেগপূর্ণ বাণী শুনে:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কোনো ব্যক্তি যদি অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে ২ রাকায়াত নামায আদায় করে তাহলে তা এই বুযুর্গ ব্যক্তির চারশত বৎসরের ইবাদত হতেও উত্তম হবে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এই কথা শুনে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামূল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে পারতাম।
সুবহানাল্লাহ! (নুযহাতুল মাজালিস) অতএব যিনি খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ও নুরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে যামানার ইমাম ও মুযতাহিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার উসিলায় বিশেষ করে শবে বরাতের রাত্রে খাছ ভাবে ইবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন