পরীক্ষা শুরুর আগে পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্নও ফাঁস
চট্টগ্রামে আজ মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর আগে চট্টগ্রাম নগরের মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ৫০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এ প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলী। কেন্দ্রে বিতরণ করা প্রশ্নের সঙ্গে ওই প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে।
সৈয়দ মুরাদ আলী জানান, চট্টগ্রাম নগরের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি বাসে করে পরীক্ষা দিতে আসে চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুল পটিয়া শাখার প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী। কেন্দ্রে ঢোকার আগে চট্টগ্রাম ওয়াসা মোড়ের কাছে জড়ো হয় তারা। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সে জায়গার দূরত্ব ১০০ গজের মতো। তারা সেখানে মুঠোফোনে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দেখছিল। গোপন খবর পেয়ে আগে থেকে ওত পেতে ছিল প্রশাসনের লোকজন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাতটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। মুঠোফোনে যে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়, এর সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে বিতরণ করা প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। এ ঘটনায় ওই ৫০ শিক্ষার্থীর কাউকে আটক দেখানো হয়নি। তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে। তবে পরীক্ষার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার পরীক্ষায় ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ছে আর শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই তা মোবাইলের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছে।
চলতি এসএসসি পরীক্ষায় এ পর্যন্ত আট দিনে আটটি বিষয়েরই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, যা প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেকর্ড ।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ, পরীক্ষার্থীদের আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকক্ষে বসা এবং কেন্দ্রের ভেতর মোবাইল ফোন না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু কোনো পদক্ষেপই কাজে আসেনি। পরে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণাতেও লাভ হয়নি। পরীক্ষার দিন ইন্টারনেট সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের চেষ্টা করেও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন