পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন স্থগিত যেসব শর্তে
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতিকে একীভূতকরণ বিষয়ে কমিটি গঠন এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে ৬ শর্তে আন্দোলন স্থগিত করল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের (অতিরিক্ত সচিব) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সমিতির এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিকালে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে দুই দফা দাবি পূরণে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে উভয়পক্ষের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বৈঠক শেষে সামগ্রিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে নিম্নোক্ত ৬টি শর্তে বৃহস্পতিবার থেকে সাময়িক কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হচ্ছে—
১. কমিটি গঠন ও রিপোর্ট জমা না হওয়া পর্যন্ত আরইবির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়রানির উদ্দেশ্যে পবিসসমূহে গমন করতে পারবে না।
২. কমিটিকে পবিসের বিদ্যমান সব পদের বৈষম্য দূরীকরণ ও একীভূতকরণসহ অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়নে একটি গ্রহণযোগ্য সুপারিশ দাখিল করতে হবে।
৩. চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত সব কর্মচারীর নিজ নিজ পদে নিয়মিত করতে হবে।
৪. বর্ণিত সময়ের মধ্যে পবিসসমূহের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো প্রকার হয়রানিমূলক বদলি করা যাবে না।
৫. এই আন্দোলনের কারণে সাময়িক বরখাস্তকৃত দুজন এজিএম ও স্ট্যান্ড রিলিজকৃত দুজন এজিএমকে নিজ পদে বহাল এবং এজিএম (ওঅ্যান্ডএম) আব্দুল হাকিমকে ২৩ ফেব্রুয়ারি হতে নিয়মিত করতে হবে।
৬. বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে দাবি আদায়ে পুনরায় মাঠে নামতে বাধ্য হব।
সারা দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। আন্দোলনরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন