পহেলা বৈশাখের দিনে কালবৈশাখী-বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু
পহেলা বৈশাখের দিনে কালবৈশাখী ঝড়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গাছচাপায় মা ও দুই শিশুসন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আর শাল্লায় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা ও ছেলে। প্রায় একই সময় হবিগঞ্জে বজ্রপাতে মারা গেছেন তিন জন।
তথ্যগুলো গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শাল্লা থানার ওসি এবং হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জগন্নাথপুরের পাটলি ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে গাছচাপার ঘটনাটি ঘটেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শুশঙ্কর পাল সাংবাদিকদের জানান, ভোররাতে ঝড় শুরু হলে সোলেমানপুরে গাছ ভেঙে একটি টিনের চালের ওপর পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়েন ঘুমিয়ে থাকা মৌসুমা বেগম এবং তার ৪ বছরের মেয়ে মাহিমা আক্তার ও ১ বছরের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন।
আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নাসিরপুর গ্রামে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। সে সময় বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন কৃষক মুকুল খাঁ, তার দুই ছেলে ও তার শ্যালকের ছেলে।
বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মুকুল ও তার ৭ বছরের ছেলে মাসুদ খাঁ।
ওসি আরও জানান, মুকুলের আরেক ছেলে ১১ বছরের রিমন খাঁ ও তার শ্যালকপুত্র ৭ বছরের তানভীরকে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সকালে দুই গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেছেন তিন জন। মৃতরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলা সদরের তিন নম্বর দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের তাতারী মহল্লার বাসিন্দা আক্কেল আলীর ছেলে হোসাইন আহমেদ (১২), একই মহল্লার আব্দুর রহমানের মেয়ে রুমা আক্তার (১২) ও খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের সামছুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৬)।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন